২০২৪ সালের নভেম্বরে চীন তাদের ৫ম প্রজন্মের দ্বিতীয় স্টিলথ ফাইটার জে-৩৫ উন্মোচন করে।
বহুমুখী অভিযানের জন্য দুই ইঞ্জিন, একক আসনের সুপারসনিক যুদ্ধবিমনিা জে-৩৫-এ রয়েছে ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে, একটি ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম এবং ইনফ্রারেড সার্চ-অ্যান্ড-ট্র্যাক।
চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর তুলনায় জে-৩৫ কে বর্ণনা করেছে - আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করার শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান।
ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনবে। এর প্রথম চালন চলতি বছরের শেষের দিকে হাতে পাবে পাকিস্তান।
আর এই বিষয়টি ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
চায়না ডেইলি জানিয়েছে, জে-৩৫ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবস্থার সাথে ‘লক্ষ্যবস্তু শেয়ার করে নিতে’ পারে।
যেমন-ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ধ্বংস করার জন্য অন্যান্য অস্ত্রকে নির্দেশ করার জন্য তার রাডার ব্যবহার করতে পারে। তবে এখানে বড় বৈশিষ্ট্য হল স্টিলথ ক্ষমতা।
জে-৩৫ এর রাডার ক্রস-সেকশন শূন্য দশমিক ০০১ বর্গমিটার বলে জানা গেছে, যা এফ-৩৫ এর সাথে তুলনীয়। এই সক্ষমতা ভারতের সাথে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নতুন যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা খুব কঠিন করে তুলবে।
এর অর্থ সীমান্তের কাছে আসার সাথে সাথে ভারত যুদ্ধবিমানগুলো শনাক্ত করতে আরো বেশি সময় নেবে।
সাবেক ফাইটার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজয় আহলাওয়াত (অবসরপ্রাপ্ত) এনডিটিভিকে বলেন, “এটি উদ্বেগজনক খবর। পাকিস্তানি রঙের জে-৩৫ এর যেকোনো সংস্করণ আমাদের পক্ষে উদ্বেগ তৈরি করবে।”