ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতির ছবি ও ভিডিও প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল।
সামরিক বাহিনী থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তেমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, আজ শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলেও ইরান থেকে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির বিভিন্ন শহরে আঘাত হেনেছে।
প্রাথমিক রিপোর্টে চারটি সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার স্থানের কথা বলা হয়েছে। আজ বিকেলে হাইফা শহরে একটি সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলেও জানা গেছে।
যদিও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটলে ছবিগুলো দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইসরায়েলে এখনও কঠোর যুদ্ধকালীন সেন্সরশিপ নিয়ম কার্যকর রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এই নিয়ম আরও কঠোর করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতপ্রাপ্ত সংবেদনশীল বা সামরিক স্থাপনার অবস্থান প্রকাশ করলে কারাদণ্ডের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো চলমান সংঘাতের মধ্যে উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ এবং জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার ইসরায়েলি প্রচেষ্টার অংশ। এর আগে আজ সকালেও একটি প্রতিরক্ষা রকেটের ব্যর্থতার খবর পাওয়া গিয়েছিল, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আজ সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিয়ারশেবা এলাকা, রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফায় আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।