সদ্য এক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমি গোয়েন্দাদের মতে ইরানে মার্কিন হানার পর আগ্রাসী হয়ে পড়েছে তেহরান। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা করছেন, বহু পশ্চিমী দেশে ইরানের স্লিপার সেল জেগে উঠতে পারে। যারা সক্রিয় হওয়ার জন্য এবার চেষ্টা করবে। ‘দ্য সান’ পত্রিকায় হেনরি জ্যাকসন লিখছেন, স্লিপার সেলের সদস্যরা ‘আমাদের মধ্যেই রয়েছে…। তাদের কাছে সিগন্যাল গেলেই, তারা জানে কী করতে হবে।’
ওই রিপোর্টে, ইউরোপের কোনও এক কূটনৈতিককে ঊদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, আমেরিকা ও তার জোট সঙ্গীদের আশঙ্কা ছিল যে, ইউরোপ এবং আমেরিকার নাগরিকদের বিশ্বের যে কোনও জায়গায় নিশানা করার ক্ষমতা রাখে ইরান। সেই কারণেই কি দ্রুত ইরানে হামলা করল আমেরিকা? ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রথম থেকেই নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়ালেও সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর কথা বলেননি ট্রাম্প। ইসরায়েলকে অস্ত্র ও কৌশলগত সাহায্য করলেও মার্কিন সেনা যুদ্ধে নামেনি। কিন্তু জি-সেভেন সামিটের পরেই গত শনিবার গভীর রাত থেকে রবিবার ভোররাত পর্যন্ত ইরানের পরমাণু পরিকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে আমেরিকার ফাইটার জেট।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে। পশ্চিম এশিয়ায় থাকা আমেরিকার সেনা ঘাঁটি ও নাগরিকদের টার্গেট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। হুথি জঙ্গিগোষ্ঠীও লোহিত সাগরে থাকা আমেরিকার জাহাজগুলিকে নিশানা করবে বলে জানিয়েছে। তেমন হলে গোটা পশ্চিম এশিয়াজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইরানে হামলার পরেই আমেরিকায় একাধিক বড় শহরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বলয় বাড়ানো হয়েছে। ইরানের যুদ্ধ আমেরিকার মাটিতে বিপদ ডাকতে পারে বলে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিও। ৯/১১-এর স্মৃতিও টানা হয়েছে এ ক্ষেত্রে। আমেরিকার মাটিতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও করা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে।