বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি গবেষণাগার ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৫ জুন ২০২৫, ১৭:৪৪
আপডেট  : ২৫ জুন ২০২৫, ১৮:০০
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি গবেষণাগার ধ্বংস
ছবি: সংগৃহীত

গত ১৯ জুন ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি গবেষণাগার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম The Times of Israel–এর বরাতে জানা যায়, এই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বহু বছরের গবেষণা কার্যক্রম ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “চিকিৎসা ও জীববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র, ডেটা এবং যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। এগুলো পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।


হামলার শিকার হয় সোরোকা হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনও

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এর পাশেই অবস্থিত সোরোকা মেডিকেল সেন্টার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, একাধিক ওয়ার্ড ও ল্যাবরেটরিতে আঘাত লাগে, তবে বড় ধরনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল আবাসিক ভবনে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকতেন, সেগুলোর ওপরও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানে। এতে প্রায় ১০০ জন বাসিন্দার জীবন হুমকির মুখে পড়ে এবং ডজন খানেক পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার এক নতুন পর্যায় নির্দেশ করে, যেখানে শুধু সামরিক নয় বরং বেসামরিক অবকাঠামো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ধরনের হামলার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে "বেসামরিক জীবনের ওপর সরাসরি আঘাত" হিসেবে দেখছেন, যা যুদ্ধবিধি লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে।

ইসরায়েলের একাডেমিক ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণার প্রাণকেন্দ্র বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হামলা শুধু স্থাপনা নয়, জ্ঞান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপরও একটি বড় ধাক্কা। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন এমন হামলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে