শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
চীনে এসসিও বৈঠক অনুষ্ঠিত

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ‘না’

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ জুন ২০২৫, ১২:২৬
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ‘না’
চীনে এসসিও বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ বাদ পড়ায় চীনে অনুষ্ঠিত এসসিও (সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) প্রতিরক্ষা বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

বিবিসির খবর অনুযায়ী, যৌথ বিবৃতিতে পেহেলগামে হামলার কথা না থাকলেও পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জঙ্গি তৎপরতার কথা বলা হয়েছে। ভারত মনে করছে, এতে পক্ষপাত দেখা গেছে এবং এটি পাকিস্তানপন্থি মনে হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত চেয়েছিল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বিবৃতিতে থাকুক।

কিন্তু একটি দেশ তাতে রাজি হয়নি। যদিও তিনি কোনো দেশের নাম বলেননি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এ আপত্তি এসেছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।

পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন মারা যায়। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলছে, পাকিস্তান তাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে পাকিস্তান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে প্রথম থেকেই।

পাকিস্তানের পাল্টা অভিযোগ, ভারত বেলুচিস্তানে স্বাধীনতাপন্থিদের সহায়তা করছে। ভারতও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৈঠকের পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, যারা জঙ্গিদের সাহায্য করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি সরাসরি কোনো দেশের নাম না নিলেও ইঙ্গিত ছিল পাকিস্তানের দিকেই।

রাজনাথ সিং আরও বলেন, ‘কিছু দেশ আছে যারা সন্ত্রাসবাদকে নিজের নীতির অংশ করে নিয়েছে। এ ধরনের আচরণ মানা যায় না। এসসিও’র উচিত এসব দেশকে নিন্দা জানানো।’

প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে এর আগে তিনটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই পুরো কাশ্মীর নিজেদের বলে দাবি করে, তবে দুদেশই কাশ্মীরের কিছু অংশে নিয়ন্ত্রণ করে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পেহেলগামে হামলার পর দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। গত মে মাসে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত।

পাকিস্তানও ভারতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে এবং ড্রোন পাঠায়। ১০ মে পর্যন্ত চলা এ উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় থেমে যায়। তবে ভারত জানায়, এ সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে