নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্ণীল আয়োজনে ও সনাতন ধর্ম অনুসারীদের অংশগ্রহনে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে উৎসবমুখর পরিবেশে শহরের শেরে বাংলা সড়কের শ্রী শ্রী বিষ্ণু মন্দির চত্বর থেকে রথযাত্রার র্যালী বের করা হয়।
সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মন্দির চত্বরে জড়ো হন সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পরে খোল-কর্তাল ও শঙ্খ বাজিয়ে কয়েক হাজার ভক্ত খালি পায়ে রথসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
মন্দির চত্বর থেকে রথযাত্রার র্যালীটির যাত্রা উদ্বোধন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. নুর - ই- আলম সিদ্দিকী।
এসময় রথযাত্রা উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করে বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, সৈয়দপুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির আলহাজ্ব শরফুদ্দিন খান, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক অধ্যাপক শওকত হায়াত শাহ, রথ যাত্রা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজকুমার পোদ্দার রাজু,
এখানে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা সভা। ধর্ম মতে ভক্তরা নিজেদের পাপ মোচন ও পূর্ণ অর্জন করতে এ রথযাত্রায় অংশ নেন। এদিনের অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ভগবত গীতা পাঠ, মঙ্গল আরতি, দর্শন আরতি, বাল্যভোগ, বিশেষ পূজা, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোমযজ্ঞ, ধ্বজা প্রতিষ্ঠা ও রথ পূজা এবং ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ অন্যতম।
এই উৎসবের আয়োজক ছিল শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উদযাপন কমিটি। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল হিন্দু কল্যাণ সমিতি সৈয়দপুর। রথ যাত্রা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের নেতা টিকেন্দ্রজিৎ রায় মিরু জানান, ৯ দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ উৎসব শেষ হবে আগামি ৪ জুলাই। পরদিন ৫ জুলাই উল্টো রথ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সেটি শ্রী শ্রী বিষ্ণু মন্দিরে পুনরাগমন করবে।
জানতে চাইলে পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সুমিত কুমার আগরওয়াল (নিক্কি) বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা মুক্ত আকাশে এ উৎসব পালন করছি।
এবারে আমাদের হাজার হাজার সনাতনী মা বাবা ভাইবোনদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। তাদের মাঝে দেখা যায় উৎসবের আমেজ, চোখে মুখে ছিল হাসির ঝিলিক।
তিনি বলেন উৎসব পালনে পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সহযোগিতা করায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।