দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে কোনরকম সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে কার্যকর হল নতুন আইন।
পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, ইসরাইল ছাড়াও অন্যান্য শত্রুদেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে পারবে না ইরানের কোনও নাগরিক। সেক্ষেত্রেও কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানের সংসদে নতু্ন আইন পাস হয়েছে। গত মাসে ইসরাইলি সেনা বাহিনীর হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে ইরান।
শুধু ইসরাইল নয়, ইসরাইলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দেশটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকাও। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইরানের বিমানঘাঁটিগুলিকেও।
ইসরাইলকে ঘায়েল করতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানও। প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দখলদার দেশটির কমপক্ষে ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন ধ্বংস করেছে ইরান।
তাই এবার নতুন আইন পাস হল ইরানি সংসদে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও আমেরিকার হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি, ইসরাইল, আমেরিকা এবং অন্যান্য শত্রুদেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’ ছড়ানোর অপরাধ বলে গণ্য হবে। যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, যারা ইসরাইলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। এছাড়াও স্টারলিংকসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি এবং কাছে রাখলে সেই ব্যক্তির ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড হবে বলা আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে গত এপ্রিল থেকেই তেহরান ও ওয়াশিংটন আলোচনা চালিয়ে আসছে।
তার মধ্যেই ইরানের পরমাণবিক সংগঠনগুলিকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যেই যুদ্ধ চালিয়েছিল ইসরাইল। ইরান যাতে আর কোনও পারমাণবিক অস্ত্র না বানাতে পারে এটাই ইসরাইলের মূল লক্ষ্য ছিল।