শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে হটিয়ে চাহিদার শীর্ষে পাকিস্তানি টুপি

যাযাদি ডেস্ক
  ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫
ছবি-যায়যায়দিন

পাকিস্তানীর কারুকাজখচিত এক ধরনের টুপি পাওয়া যাচ্ছে, যার মূল্য ২৬০০ টাকা। আর এবারের ঈদে এটাই শীর্ষে রয়েছে। অন্য বছরগুলোতে ভারতীয় টুপিও ব্যাপক হারে বিক্রি হতো। এবার সেখানে ভাটা পড়েছে। বলা যায় ভারতীয় টুপিকে হটিয়ে শীর্ষে চলে এসেছে পাকিস্তানি টুপি। ঈদকে কেন্দ্র করে পুরুষদের জন্য এখনো হালফ্যাশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি। সেই সঙ্গে অন্যতম অনুষঙ্গ টুপি।

ঈদের আমেজে পরিপূর্ণ সাজতে এবার পাকিস্তানি টুপির চাহিদা বেশি। নগরের বিভিন্ন স্থানে মার্কেট ও ফুটপাতে জমজমাট টুপি বেচাকেনা। বিভিন্ন মসজিদের সামনে দেখা গেছে বাহারি ধরনের সারি সারি টুপি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। দেশি-বিদেশিসহ বৈচিত্র্যময় টুপি পাওয়া যাচ্ছে সুলভমূল্যে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের ঈদ থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত টুপির চাহিদা থাকে অনেক। সেই অনুযায়ী এবার ১৫ রমজানের পর থেকেই টুপি বেচাকেনা বেড়েছে।

শপিং কমপ্লেক্সে ও ফুটপাতের এই টুপি ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি টুপির। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, মূলত এখানে দেশি টুপির পাশাপাশি পাকিস্তানি ও ভারতীয় টুপি রয়েছে। এছাড়াও চীন, মিশর, আফগানি টুপিও রয়েছে। কম দামে বৈচিত্র্যময় নকশার কারণে এগুলোর চাহিদা বেশি। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ছুটির উৎসব। ঈদের নামাজে মুসলিমদের বাড়তি আগ্রহের বিষয় থাকে আতর-টুপিতে। নতুন জামার সাথে নতুন টুপিও চাই। সঙ্গে আতরদানি। ঈদের দিন ঈদগাঁ যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। তাই ছোট-বড় সবাই সুগন্ধি হিসেবে আতর ব্যবহার করেন।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর সবচেয়ে বড় আতর-টুপির মার্কেট বায়তুল মোকাররম ঘুরে দেখা যায়, মানুষের ভীড়। জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন বিশাল এ মার্কেটে পাওয়া যায় নামিদামি আতর, সুরমা। তসবি, টুপি, জায়নামাজেরও বিশাল সমারোহ। ঈদের আগে পছন্দের আতর-টুপি-তসবি কিনতে অনেকেই ভীড় করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, সব জিনিসপত্রের দাম উর্দ্ধমুখী। মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। এর প্রভাব আতর,টুপি, জায়নামাজের ওপরও পড়েছে। তবে যা বিক্রি হয়েছে, তাতে আলহামদুলিল্লাহ বলছেন বিক্রেতারা।

এদিকে দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডিজাইনের টুপি। তবে পাকিস্তানীর কারুকাজখচিত এক ধরনের টুপি পাওয়া যাচ্ছে, যার মূল্য ২৬০০ টাকা। তবে ২০০-২৫০ টাকার টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। চাহিদা রয়েছে ৩০০-৪০০ টাকার সুতি কাপড়ের টুপিরও। আর আতর পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। আর তসবি রয়েছে ২০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।

টুপি বিক্রেতা রফিকুল আউয়াল বলেন, ২৬ বছর ধরে বায়তুল মোকাররমে ব্যবসা করি। এতো কম বিক্রি আগে কখনো হয়নি। অন্যান্য বছর ২৫ রোজার মধ্যে প্রায় বেচা শেষ হয়ে যাই। কিন্তু এবছর বেচাকেনা নাই। মানুষ কিনবেই বা কেমনে, জিনিসপত্রের যে দাম। হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। তারপরও যা বিক্রি হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

আতর বিক্রেতা ইয়ামিন জানান, ১০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে আতর পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি মোটামুটি ভালোই আছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কমই।

তসবি বিক্রেতা ইশতিয়াক আহম্মেদ ইমতিহান জানান, বিক্রি আলহামদুলিল্লাহ হচ্ছে ভালোই। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম। বাবার সাথে টুপি কিনতে আসা তুরান জানান, নতুন জামা-কাপড়, জুতা কেনা শেষে। কাবার সাথে এখন টুপি কিনতে এসেছি।

তুরানের বাবা জানান, ছেলে আবদার করেছে নিজের পছন্দমত টুপি কিনবে তাই ওকে সাথে করেই নিয়ে এসেছি। দেখছি গত বছরের তুলনায় টুপির দাম কিছুটা বেশি। তারপরও ছেলে যেটা পছন্দ করবে সেটা তো কিনে দিতেই হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে