কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর শনিবার (২৮ জুন) অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত ফজর আলী ছাড়াও এখন পর্যন্ত আমরা আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। যারা ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও করে নারীকে যৌন হয়রানি করেছিল।
গ্রেফতাররা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার পাঁচকিত্তা বাহেরচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ ও মো. তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘মূল আসামি ফজর আলীকে রোববার ভোর ৫টায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি যে ৪ আসামি আছে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। সেটি হতে পারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অথবা যৌন হয়রানির অভিযোগে।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে নারীর ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, তিনি গত ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাকে দেখলেই উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। পরে চিনে ফেলায় কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।