বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

টিপকাণ্ড : সুবর্ণা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৯
টিপকাণ্ড : সুবর্ণা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডে তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা এবং সুবর্ণা মুস্তাফাসহ শোবিজের ১৬ তারকার নামে মানহানির মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে চাকরিচ্যুত কনস্টেবল নাজমুল তারেক মামলার আবেদন করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেন নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা ছাড়াও মামলায় শোবিজ অঙ্গনের আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শানারেই দেবী শানু, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার ও কুসুম সিকদার।

এছাড়া শোবিজের আরও বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় এ তারকারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের মানহানি ঘটিয়েছেন।

তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে নাজমুল তারেকের নামে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যার ফলে তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের এপ্রিলে কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় হেনস্তার অভিযোগ তোলেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার।

ওই বছরের ২ এপ্রিল থানায় দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, সেদিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমার সামনে রিকশা থেকে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে তিনি তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন।

সেদিন ‘সেজান পয়েন্টের’ সামনে থেমে থাকা একটি মোটরসাইকেলে পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক বসেছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তার কপালে টিপ পরা নিয়ে ‘বাজে’ মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ করা হয় লতাকে।

তাকে উদ্দেশ্য করে ‘টিপ পরছোস কেন’ মন্তব্য করেন ওই পুলিশ সদস্য।

লতা সেদিন অভিযোগ করেন, প্রতিবাদ করায় পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের ওপর উঠিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার জেরে নাজমুল তারেক চাকরি হারান। পরে তিনি আইনি লড়াইয়ে যান এবং চাকরি ফেরতের আবেদনও করেন। বর্তমানে সেই মামলা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে