কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদে মিন্টু (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি খন্দকার সিরাজুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৩) ও একই গ্রামের মৃত আমজাদ মণ্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)।
আদালত রায় ঘোষণার পর কড়া পাহাড়ায় আসামি আমিনকে জেলা কারাগারে পাঠন এবং অপর আসামি ফারুক হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ির পানির টিউবয়েলের হাতা চুরির অপবাদ দেওয়া হয় মিন্টুকে।
২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী রাতের দিকে বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে আসার পথে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একজোট হয়ে মিন্টুকে ঘিরে ধরে ভুট্টাক্ষেতে নেওয়ার পর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মাথায় আঘাত করে।
বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একদিন পরে মারা যান মিন্টু।এ ঘটনার একদিন পরে নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে করে গত ২০০৯ সালের ৫ মে আদালতে অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত ১৪জনকে খালাস প্রদান করেন এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।