আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দীন এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৪ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তফা কামাল চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।
তাকে এর আগে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে একদিন তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে।
পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ, দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এটির পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানায়।এই পাঁচটি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চিন্ময় দাসের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওই মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।