বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ জুন ২০২৫, ১৫:৪৯
সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের  ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনা (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার এদিন হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে হাবিবুল আউয়ালের পক্ষে তার আইনজীবী এমিল হাসান রোমেল রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম জানান।

প্রসঙ্গত, জনগণের ‘ভোট ছাড়াই’ নির্বাচন সম্পন্ন করা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করে বিএনপি। মামলা হওয়ার তিন দিনের মাথায় গতকাল বুধবার ঢাকার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তার আগে গত রোববার মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরেক সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নূরুল হুদাকে পরদিন চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। তাকে আরা দশ দিনের রিমান্ডে চেয়ে ইতোমধ্যে আবেদন করেছে পুলিশ।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পাশাপাশি তাদের সময়ের নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়।

পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার বুধবার মামলায় দণ্ডবিধির ১২০ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করেন।

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে এ মামলায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে