নেই কোনো কারিগরি শিক্ষা তারপরও তৈরি করছে নামি দামি গাড়ির বাতিল হওয়া বডি। নারী হয়েও পারভিন বেগম পুরুষদের মতো কাজ করছেন বিভিন্ন ঝুকি নিয়ে। পাশেই আছে তার স্বামী। এভাবেই ফুটপতে বসে স্বামী স্ত্রী দুজন মাসে আয় করছে লাখ টাকার বেশি।
পারভিন বেগম বলেন, প্রথম যখন এখানে দোকান দিয়েছিলাম তখন দিন ৫শত থেকে ৬শত টাকা আয় হতো। এখন আল্লাহ ভালো দেয়, দিন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা আয় হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথে সহযোগিতা করি কারণ একজন লোক নিয়ে তার দিয়ে যদি কাজ করাই তাহলে তাকে দিন ৫শত থেকে ৬শত টাকা দিতে হবে। সে টাকা তা না দিয়ে আমি নিজে কাজ করি যাতে টাকা আমাদের থাকে।
পারভিন বেগমের স্বামী বলেন, এ কাজ প্রথমে আমার বাবা করতে। বাবার কাজটা নিজে ধরে রেখেছি। এখন বাবার কাজটা আরও আপডেট করে নিয়েছি। বাবা যে ভাবে কাজ করতো আমি তার থেকে আরও ভালো করে করার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে দু‘যুগ ধরে কাজ করছি। এ লাকার মানুষ আমাকে এ নামে চেনে।
তারা দুজন ফুটপাতে বসে বানান গাড়ির চকচকে বডি, দেখলে মনে হবে শোরুম থেকে মাত্র আনা হয়েছে। তারা এ কাজে যস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কয়লার আগুন। আগুনে লোহা গরম করে তাদিয়ে প্লাস্টিক ঝালাই করে।
এই দম্পতি বাংলাদেশে বাংকের পিছনের রাস্তার পাশে বসে লাখ থেকে শুরু করে কোটি টাকার গাড়ির বডি লাইট বা গাড়ির যেকোনো অংশ সহজে বানিয়ে দেয়। তাদের হাতের কাজ দেখে অনেক দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আছে।
তবে অবাক করার বিষয়, যেখানে কারখানায় এসব গাড়ি ঠিক করতে নেওয়া হয় হাজার থেকে লাখ টাকা সেখানে, তারা কয়কশত টাকা নিয়ে গাড়ি বা মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশ ঠিক করে দিচ্ছে। যেকোন প্লাস্টিকের কিট ভেঙ্গে গেলে তা পুনরায় ঝালাই করে নতুন করে দিচ্ছে।
যাযাদি/ এম