শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শীতে ত্বকের উজ্বলতা ধরে রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫
আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫
শীতে ত্বকের উজ্বলতা ধরে রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি
ছবি: সংগৃহীত

চলে এসেছে শীতকাল। উত্তরের হিমেল হওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও হিমেল হাওয়া উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, কিন্তু এই সময় হিম বাতাসে টান ধরে ত্বকে। তৈলাক্ত ত্বকই এই সময় বেশ শুষ্ক হয়ে যায়, আর যদি এমনিতেই শুষ্ক ত্বক হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাছাড়া, শীতকালে প্রায় সবার ত্বকই রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনের জন্য সারা বছরই আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালে সাধারণ যত্ন নিলে চলে না, নিতে হয় বাড়তি যত্ন। এমনিতে ঠান্ডা আবহাওয়া, তার ওপর বাতাসে আর্দ্রতা কম বলে শীতকালে আমাদের ত্বক নাজুক হয়ে পড়ে। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, হয়ে পড়ে রুক্ষ। চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া কিছু পদ্ধিতিতে সহজেই এসব সমস্যা দূর করা যায়।

চলুন দেখে নেই কিভাবে এই শীতেও নিজেদের আকর্ষণীয় করে রাখা যায়-

1

১. কুসুম গরম পানিতে গোসল: অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানির ব্যবহার শীতে ত্বককে আরও রুক্ষ করে দিতে পারে। তাই হালকা গরম পানিতে গোসল করতে হবে। নিয়মিত গোসল করা উচিত। তবে বার বার হাত মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

২. গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার: শীতের সময় এমন কোনো সাবান ব্যবহার করবেন না, যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময় আমাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। তাই গোসল বা হাত-মুখ ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত খাড় যুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শীতের সময় অনেকে পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দেন। এমনটা করা যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে আমাদের মেটাবলিজম ঠিক থাকবে। তাছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করলে এই শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা কমে যাবে।

৪. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: শীতকালে রোদের তাপ খুব বেশি থাকে। বাইরে বেরোলে রোদের তাপ শুষ্ক ত্বকে আরও বেশি প্রভাব ফেলে। তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই অন্তত এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগান। এতে করে সূর্যরশ্মির প্রভাবে ঠোঁটের ক্ষতি হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।

৫. পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন: এই সময় শুধু সূর্যের আলো থেকেই ত্বকে বার্ন হয় না, ঠান্ডা হাওয়া থেকেও ত্বক জ্বালা হয়। একে বলা হয় উইন্ড বার্ন। শুষ্ক ত্বকে উইন্ড বার্ন অনেক বেশি ক্ষতি করে। এর থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি। নির্দিষ্ট সময় পরপর পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার আপনার ত্বকের উজ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

৬. সবুজ শাক-সবজি খাবেন: সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন এ, সি, কে বেশি থাকে। ভিটামিন এ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এটি ত্বককে মসৃণও রাখে। ভিটামিন ছাড়াও এ ধরনের শাক-সবজিতে থাকে আয়রন এবং খনিজ যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও খসখসে হওয়া থেকে বাঁচায়। তাই, শীতের রূপচর্চায় অবশ্যই বেশি করে সবুজ শাকসবজি রাখুন।

৭. সাইট্রাস বা ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাবেন: লেবু, কমলা, মালটা এসবই হলো সাইট্রাস ফল। এর মধ্যে কমলাটা খেতে পারেন বেশি। কারণ এই ফলের ‍রসের পাশাপাশি ফাইবারও ঢোকে শরীরে। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সাইট্রাস ফলগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এবং ত্বকে শীতকালীন নানা সংক্রমণ ঠেকায়। এ ছাড়াও এগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। ত্বকে ওই র‌্যাডিকেল যত কম থাকবে, ত্বক ততই উজ্জল থাকবে।

৮. দানাদার শস্য সেবন করুন: শীতের সময় বাজরা, রাগি, ভুট্টা ইত্যাদিসহ আরও অনেক মৌসুমী শস্য পাওয়া যায়। এগুলোও শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখে এবং ত্বক সুস্থ রাখে। কেননা, এগুলোতে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, উচ্চমাত্রার ফসফরাস এবং ফাইবার থাকে। এগুলোতে থাকা ভিটামিন বি ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে