মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অধ্যাপক আনোয়ারা কারাগারে : নিন্দা এইচআরএফবির

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৫
আপডেট  : ০১ জুন ২০২৫, ২০:০৯
অধ্যাপক আনোয়ারা কারাগারে : নিন্দা এইচআরএফবির
অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগম ফাইল ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ৬৯ বছর বয়সী একজন নারীকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

1

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর রায়সাহেব বাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা আহত হন। পরে তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সঙ্গে আনোয়ারা বেগমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতকে লিখিতভাবে জানান।

বিবৃতি অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এরপর পুলিশ চলমান মামলার আওতায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায়। গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এইচআরএফবি জানায়, আনোয়ারা বেগম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন এবং ২০২১ সালে অবসরে যান। তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জামিনের বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে-যা এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল বলেও সংগঠনটি উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে এইচআরএফবি। পাশাপাশি সংগঠনটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাছবিচারহীনভাবে শত শত ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠালে মামলাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হতে পারে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তাদের মতে, যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়া প্রয়োজন। এমনকি জুলাই হত্যাকাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর মামলায় অনিয়মিত গ্রেপ্তারের ঘটনা বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, আনোয়ারা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আসামি নির্ধারণ, গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণের ক্ষেত্রে অধিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশ ও আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে