২০২৪ এর ৫ই অগাস্টের দিন থেকে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা কর্মী পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। বিগত ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিট পর্যায়ের নেতা কর্মী আজ শত হাজার কোটি টাকার মালিক। এসব অবৈধ টাকা তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের বিপদে ফেলার জন্যে ব্যায় করছে। প্রতিবেশী দেশে বসে সে দেশের গোয়ান্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগনের জানমালের জন্যে হুমকি বিভিন্ন শীর্ষ পলাতক সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাচ্ছে। দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্বতন্ত্র ৪৬ পদাতিক ডিভিশন ও দূর্জয় পঁচিশ এর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্স দিন ও রাতের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে দীর্ঘ ২মাসেরও বেশি সময় ধরে। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম দুই দেশদ্রোহী পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী ত্রিমতী সুব্রত বায়েন ও মোল্লা মাসুদ কে একই জায়গা থেকে বিনা রক্তপাতে গ্রেফতার করা। এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর গ্রেফতারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্বতন্ত্র ৪৬ পদাতিক ডিভিশন ও দূর্জয় পঁচিশ এর সদস্যরা দেশ, জাতী, সরকার ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের জীবন রক্ষা করেছে। তারা দেশ ও জাতীকে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। সেনাবাহিনীর আভিযানিক দল এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে স্যাটেলাইট ফোন, অস্ত্র ও পতিত আওয়ামী লীগ এবং পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়ান্দা সংস্থার ভয়ঙ্কর এক মিশনে কথা জানতে পেরেছে এবং আপাত দৃষ্টিতে তা নস্যাৎ করতে পেরেছে। এই দুই সন্ত্রাসী স্বীকার করেছে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাদের পরিকল্পায় ছিলো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের টার্গেট কিলিং এবং অপ্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা তৈরি করা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দেশপ্রেমিক সাংবাদিক, এবং বর্তমান ছাত্র নেতাদের হত্যা করা। যাতে দেশে আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে পরে এবং দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মাঝে পরে। শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বায়েন তার কিলার গ্রুপ রেডি করার জন্যে প্রকাশ্যে আসে। সে মহড়া দেয়া শুরু করে যাতে তার বাহিনীর লোকজনের মনেবল বাড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ই অগাস্টের পর কিছুটা দূর্বলতার সুযোগে সে তার বাহিনী সংগঠিত ও নতুন নতুন সন্ত্রাসীদের তার দলে ভেড়ানোর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরে এবং পরিক্ষামূলকভাবে গুলশান, বাড্ডা ও হাতিরঝিল এলাকায় তিনটি হত্যাকান্ড ঘটিয়ে শক্তির পরিক্ষা করে। তখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের অদৃড় মনোবলে শক্তি নিয়ে টাস্কফোর্স গঠিত হয় এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্যে। কাজটা সহজ ছিলো না। সুব্রত বায়েন ও মোল্লা মাসুদ এবং তাদের সহযোগীরা প্রযুক্তির ব্যবহার ও দ্রুত স্থান পরিবর্তনের কারনে তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে ও অভিযানে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবুও অদম্য মনোবল নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ৪৬ স্বতন্ত্র ডিভিশন ও ২৫ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর সদস্যরা কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বায়েন ও মোল্লা মাসুদ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই জন্যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ।