শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নেছারাবাদে আ.লীগের বৃহৎ একটি অংশ ঈগলের প্রার্থী মহারাজের পাশে

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) প্রতিনিধি
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮
আপডেট  : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১১
নেছারাবাদে আ.লীগের বৃহৎ একটি অংশ ঈগলের প্রার্থী মহারাজের পাশে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিরোজপুর- ১২৮ নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ,কাউখালী ২ আসনে আওয়ামী লীগের বৃহত্তর একটি অংশ পাশে নেই নৌকার।

নেছারাবাদ উপজেলা দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। দশটি ইউনিয়নের সারেংকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম ব্যতীত নয় জন চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়র গোলাম কবির, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম মুহিদ সহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের বৃহৎ একটি অংশ মহিউদ্দিন মহারাজের ঈগল মার্কার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। এ কথা বলেন ঈগল মার্কার প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ।

নেছারাবাদ উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ৯০ জন ওয়ার্ড মেম্বার ও সংরক্ষিত ৩ জন মহিলা মেম্বার ঈগল মার্কার পক্ষে নির্বাচনে মাঠে নেমেছে।

নির্বাচন শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ঈগল মার্কার প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ নেছারাবাদ উপজেলায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে পথসভা করেছে। প্রতিটি পথসভা জনগণের ভিড়ে জনসভায় পরিণত হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের একটি বৃহৎ অংশ এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বারগণ অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে নৌকার অলংকার। আজকে আমি যদি নির্বাচন না করতাম তাহলে আমার চাচা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচন করার প্রয়োজন হতো না এমনিতেই সে সংসদ সদস্য হয়ে যেত। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ, যেখানেই নৌকার প্রার্থী থাকবে সেখানেই সতন্ত্র প্রার্থী থাকবে তাহলেই নির্বাচন উৎসবমুখর হবে।

আমার নির্বাচনী পথসভায় নেছারাবাদ উপজেলা বাসি আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন এই ঋণ আমি কি দিয়ে শোধ করব তা আমার জানা নেই।

মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ঈগল মার্কা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থিত মার্কা। নৌকা ১ টি, তাই আওয়ামী লীগের সাথে জোটগতভাবে ১৪ দল নির্বাচন করায় পিরোজপুর দুই আসনে জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সাহেবকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নৌকা ধার দিয়েছেন। নির্বাচনে আমি যদি জয়লাভ করি তাহলে ৭ তারিখের পরে ঈগল হবে নৌকা আর ধার করা নৌকা হবে সাইকেল।

মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, আমরা চার ভাই আমার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তারই ধারাবাহিকতায় আমরাও আজকে রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দলের জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, যার মার্কা সাইকেল। তিনি আমার মুরুব্বী, তাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু তার এই বয়সে তিনি কি উন্নয়ন করবে তা আমি জানিনা। আমি মহিউদ্দিন মহারাজ, ইতোমধ্যে নেছারাবাদ উপজেলায় ৬৫ টি রাস্তার কাজ এনে দিয়েছি, আগামীতে যদি সংসদে যেতে পারি তাহলে নেছারাবাদ উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসাবে উপহার দিব এটা আমার অঙ্গীকার।

মহিউদ্দিন মহারাজের ছোট ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তিনি বলেন চাচা আপনি যে বারবার বলেন আমাদেরকে বসিয়ে দিবেন, এই কথা জনগণ না বুঝলেও আমরা বুঝি। তাই জনগণের উদ্দেশ্যে বলছি, চাচার কথা আপনারা বুঝেন নাই, নির্বাচনের পর তিনি মুরুব্বী হিসেবে মহিউদ্দিন মহারাজকে সংসদে বসিয়ে দিবেন। নির্বাচনে কোন কাটাকাটি চেষ্টা করলে তা জনগণ প্রতিহত করবে। আমরা চার ভাই তার মধ্যে আমার বড় ভাই মহিউদ্দিন মহারাজকে আপনাদের নেছারাবাদে দিয়ে গেলাম। তিনিই নেছরাবাদের উন্নয়ন করবে। আমরা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নেছারাবাদ উপজেলা বাসীর কাছে ঈগল মার্কার সমর্থন চাই। আপনারা ভোটের দিন ঈগল মার্কায় ভোট দিবেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে