শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুরের ছবি নামিয়ে ফেলা ঠিক হয়নি : রিজভী

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০৮
ছবি : যায়যায়দিন

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান সেটা স্বীকার করতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কারো গণতন্ত্রণের জন্য কোনো অবদান নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজকে অহংকার করেন। আপনারা কেউ তো শেখ হাসিনার দুঃশাসন ঠেকাতে কিংবা মোকাবিলা করতে পারেননি। আমরা শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করেছি।

রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মারা গেছে। চিকিৎসকরা রাতের পর রাত জেগে থেকে চিকিৎসা করেছে, ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। আপনার (উপদেষ্টা ও সচিব) কয়জন হাসপাতালে গিয়েছেন? আর আজকে অহংকার করেন, কথা বলতে চান না। আমরা আপনাদের চিনে রাখছি। আপনারা কারা? আপনারা শেখ হাসিনার দোসর। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা তুলে আজকে সচিব ও যুগ্ম সচিব হচ্ছেন। উপদেষ্টার পদে আছেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছেন স্বাধীনতার পরে। সব দল নিষিদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তার হাত ধরে। এর আগে ৬০’র দশকে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন করেছেন। মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছিল, ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেননি। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে তার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন একজন অদম্য সৈনিক, জিয়াউর রহমান।

রিজভী বলেন, দেশ স্বাধীন হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। আমরা দেখলাম তাদের হাত দিয়ে হত্যা, খুন ও গুম হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুরের ছবি নামিয়েছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আবার বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি পূরণ করেন। আজকে যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, আমি একটা সংবাদ দেখেছি, সেটা ধরেই বলছি- অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ … শেখ মুজিবের ছবি নামিয়েছেন। এতোদিন বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু সবকিছু তো একরকম হয় না। আমি মনে করি তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলাটা ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাক ছবি নামিয়েছে, জিয়াউর রহমান তুলেছে। ইতিহাস বিচার করবে। সেই বিচারের ভার জনগণের। আমাদের জাতীয় জীবনে যার যতটুকু অবদান সেটা স্বীকার করতে হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে