বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

তারেক রহমানের সাথে বিদেশে বৈঠক করা  কি অপরাধ হয়েছে: প্রশ্ন এ্যানির

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  ২৫ জুন ২০২৫, ১৭:৪৫
তারেক রহমানের সাথে বিদেশে বৈঠক করা  কি অপরাধ হয়েছে: প্রশ্ন এ্যানির
ছবি: যায়যায়দিন

তারেক রহমানের সাথে বিদেশে বৈঠক করা কি কোন অপরাধ হয়েছ বলে প্রশ্ন রাখেন বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি আজ লক্ষ্মীপুরে চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পূর্ব সমাবেশে এ্যানি এ সব কথা বলেন।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তারেক রহমান বিদেশে কথা বলছে এটা কি কোন অপরাধ হয়েছে? তারেক রহমানের সঙ্গে অনেক আগে তো কথা বলার দরকার ছিল। কারণ বিএনপি একটি বড় দল, জিয়াউর রহমানের দল, গণমানুষের দল, আপোসহীন নেত্রীর দল। খালেদা জিয়া কষ্ট করেছেন শ্রম দিয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন মামলা খেয়েছেন। অত্যাচারিত হয়েছে নির্যাতিত হয়েছেন । তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন। তাহলে এত বড় দলের নেতার সাথে কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক। তারেক রহমান তো বিদেশে বেড়াতে যাননি। তিনি বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে ছিলেন।

তার সঙ্গে বৈঠকটা হয়েছে আমরা আস্বস্ত হয়েছি। এটাই তো আমাদের চাওয়া পাওয়া ছিল। এরপর বেগম খালেদা জিয়া তার সাথেও বৈঠক হওয়ার দরকার ছিল। তারপরও একটা দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে , সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। কিন্তু রাজনৈতিক আলোচনার জন্য খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক হয়নি, যেহেতু তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু সরকার যদি বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে দেখা করত, আমরা খুশি হতাম। তারপর আমরা এই কথাগুলো তুলে ধরে নি, বলিনি।

তাহলে আজকে দুই একজন বলার চেষ্টা করে যে, বিদেশে তারেক রহমানের সাথে কেন বৈঠক হয়েছে, এই কথাটা বলাটা কি ঠিক হয়েছে? দরকার ছিল না কারণ আমরা তো সবাই মিলে আন্দোলন করেছি। সবাই মিলে সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে।

আমরা কিন্তু তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছি। তারেক রহমান ওনার প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। তারেক রহমান এতদিন আসতে পারেন নাই। প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যাক্তি তিনি দেশের বাইরে গেছেন। একটা সুযোগে তারেক রহমানের সাথে একটা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কিভাবে তারেক রহমান কথা বলেছেন, মায়ের সালাম পৌঁছে দিয়েছেন। এই যে দুজনের সাথে কথাবার্তা, দেশ নিয়ে আলোচনা। আমরা মনোবল পেয়েছি আস্বস্ত হয়েছি।

২০১৪ তে ভােট দিতে পারেন নাই, ২০১৮ তে ভোট দিতে পারেন নাই, রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছে। ২০২৪ এ আমাদের সবাইকে মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার করে তারা ভোট করেছে। ভোট কিভাবে হয়, কিভাবে দিতে হয়, নতুন প্রজন্ম ভোটার হতে পারে নাই, ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে নাই।

আমরা লজ্জিত ছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমাদের সবকিছু গোছানোর সুযোগ হয়েছে, ভোট দেওয়ার মতো একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আমরা দলের ভোট আজকে করছি আগামী দিনে আমরা দেশের ভোট করব। এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিজয় অর্জন করেছি, এ বিজয়ের পেছনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘাম, শ্রম, কষ্ট ছিল। আন্দেলন, সংগ্রাম, নেতৃত্ব ছিল। খালেদা জিয়া জেলে গিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অসুস্থ হয়েছেন। তারেক রহমান দেশের বাহিরে ছিলেন, দেশের বাইরে থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবক রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ আমি এক্যবদ্ধ আন্দোলন করে হাসিনাকে পালিয়ে যাবার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা কে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। কিন্তু সে গণশত্রু ছিল।

হাসিনা পালিয়ে গেছে, এমনিই তো আর পালান নাই। ১৭ বছর আন্দোলন করেছি জেল খাটছে ত্যাগ স্বীকার করছি ঘুম হয়েছে খুন হয়েছে নির্যাতিত হয়েছে মামলা খেয়েছে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে।, পরিবার পরিজন কষ্ট করেছে আমরা সবাই মিলে আন্দোলন করেছি আমাদের সামনের ভবিষ্যতের জন্য আমরা ভালো থাকতে চাই

স্বাধীনতার উপর আওয়ামী লীগের ভূমিকা কি ভালো ছিল? রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার ছিল দুর্নীতি ছিল দুঃশাসন ছিল দুর্বৃত্ত ছিল। বছরের এখান থেকে তারা বের হতে পারে নাই। এই আওয়ামী লীগে ফ্যাসিস্ট কখনো সাধারণ মানুষের জন্য গণমানুষের জন্য তা তা চিন্তা করে না তারা সবসময় বিস্তার করে লুটপাট করে জিমি করে মানুষদেরকে একটা অত্যাচারিত সরকার ছিল নির্যাতিত সরকার ছিল খুনি সরকার ছিল। রক্তের দাগ এখনো শুকাই নাই৷ সবাইকে জুলাই আগস্ট আন্দোলন গণঅভ্যুত্থান স্মরণ করাই দিতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক গোলাম সারওয়ার সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমাম সোহেল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে