সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে বিএনপির কর্মী বানানোর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলা বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ডেভিল হান্ট অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ।
তাকে ২০২৪ সালের দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী হিসাবে ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিন্তু যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিজানকে বিএনপি কর্মী বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, একটি মহল।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করে আসছিল মিজানুর রহামন । ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর খোলস পাল্টে বিএনপি কর্মী সাজার নাটক শুরু করে দিয়েছে মিজানুর রহমান । তার এই নাটক মামলা থেকে বাঁচার জন্য। অথচ ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলে আওয়ামী এমপি ও স্থানীয় আওয়ামীলগের নেতা সাথে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে। বিগত নির্বাচনে মিজানুর রহমান নৌকার ব্যাচ বুকে লাগিয়ে এজেন্ট হওয়ার দৃশ্য রয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনুর বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষকে হয়রানি করে আসছিল মিজানুর রহামন।
ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলে আওয়ামী এমপি ও স্থানীয় নেতাের সাথে তাকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের পর বিএনপি কর্মী বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, একটি মহল। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ডসহ উপজেলা বিএনপি নেতারা তা ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।
যাযাদি/এস