দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর এক অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে গত বৃহস্পতিবার রাতে । অডিও ক্লিপটিতে তিনি আব্দুর রহিম নামের এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে অস্র মামলার হুমকি দিয়েছেন।
অডিও ক্লিপটিতে মঞ্জু বলেন, আপনে কি রহিম বলছেন ? আমি মঞ্জু বলছি । দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক । শুনেন, দুটো মামলা হইছে । আপোস-মিমাংসার জন্য আপনাদের নাম মামলায় দেয়নি । সোহাগ, ফোয়াদদের বিবাদী করে আপনার মামলা করেছেন । আপস-মিমাংসা হবেন । নয়তো পরবর্তীতে যে ৭-৮ টি অস্ত্র মামলা হবে সবগুলোতে আপনারা পড়বেন । একপর্যায়ে অকথ্য ভাসায় গালিগালজ ।
অডিও ক্লিপটিতে হুমকির শিকার হওয়া রহিম বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাংগার গ্রামের বাসিন্দা । তথ্য অনুসন্ধানে রহিমের পরিবারের সদস্যরা জানায়, যুবদল নেতা মঞ্জুর অস্ত্র মামলার হুমকিতেই রহিম স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে ।
আরো বলেন, সে (রহিম) বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলো। পাশ্ববর্তী গ্রামের বিএনপি সমর্থিত জিয়াউল হক তাঁরা মিয়ার পরিবারের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক । বছর খানেক আগে (২০২৩ সালে) ঘরের থাই গ্লাস ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মাঝে কথাকাটাকাটি হয় । সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় মারামারি সহ থানায় মামলা পর্যন্ত গড়ায় ।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁরা মিয়ার ভাতিজা ফুয়াদ ও সোহাগ ১০-১৫ জন লোক সাথে নিয়োহাদুরাবাদ বাজারে প্রকাশ্যে রহিমকে আক্রমণ করে বেধড়ক পিটায় । হাত ভাঙা সহ বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে আব্দুর রহিম । চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করে। সেই মামলা উঠিয়ে নিতে রহিমকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয় সোহাগ, ফুয়াদ সহ ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মী । হুমকিদাতাদের মধ্য অন্যতম হুমকিদাতা ছিলো উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। সে অস্র মামলার হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বেড় হতে দিতো না । মঞ্জুর হুমকির কারনেই গেল বছর ডিসেম্বর মাসে আব্দুর রহিম স্ট্রোক করে মারা গেছেন ।
নিহত আব্দুর রহিমের ছোট ভাই ঈমাম হোসেন, বড় ভাই বাবুল মিয়া আরো বলেন, রহিম আওয়ামী লীগ করতো । সে সুযোগে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জু নিয়মিত অস্ত্র মামরার হুমকি দিতো । হুমকিতে হতভম্ব হয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে ।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বটি মিমাংসার জন্য রহিমের বিবাদী পক্ষ ফুয়াদরা আমার কাছে আসে । সেসুবাদে আমি রহিমকে দফায় দফায় ফোন করি । সুন্দর ভাবে কথা হয় । কিন্তু একটা পর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় রহিম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজিত করে, অডিও রেকর্ড করে, রেকর্ডটি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে । সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ।