জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বিসিবি পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বোর্ড সভাপতি হওয়ার আলোচনা নিয়ে অবশ্য তিনি সরাসরি কিছু বলতে চান না। তবে দেশের ক্রিকেটের জন্য বিসিবিতে যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে বোর্ড পরিচালক এবং পরে সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশের ক্রিকেটে কাজের সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বুলবুল। কাজ করার আগ্রহ তারও রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছেন বলে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
পারিবারিক কাজে ঢাকায় এসেছেন বুলবুল। আইসিসিতে কর্মরত এই সাবেক ক্রিকেটার বিসিবিতে যোগ দিলে অবৈতনিক ছুটিতে যাবেন। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকার ইচ্ছে নেই তার। তিনি চান স্বল্প সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ছাপ রেখে যেতে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সংবাদ মাধ্যমকে বুলবুল বলেন, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল যে, আমি কাজ করতে রাজি কি না। আমি বলেছি—দেশের ক্রিকেটের যেকোনো কাজেই আমি প্রস্তুত আছি।’
বুলবুলের দাবি, তাকে প্রথমে বোর্ড পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার তাকে সভাপতি হিসেবে চাইছে। তবে হঠাৎ করে সভাপতি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি রয়েছে, যেমনটি অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে বুলবুলের পথ অনেকটাই সুগম হয়ে যেতে পারে। তবে এসব নিয়ে ভাবিত নন তিনি, “আমি কিভাবে আসবো, সেই পথটা সরকার নির্ধারণ করবে। সরকারই হবে আমার নিয়োগদাতা। কিভাবে নিয়োগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়। আমি এমন কেউ না যে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করে আমাকে নিয়োগ দিতে হবে।
বর্তমানে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত বুলবুল বলেন, “আইসিসিতে আমি পূর্ণকালীন চাকরিজীবী, ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করি। যদি বিসিবিতে যোগ দেই, তাহলে বেশিদিন থাকা সম্ভব নয়। আমাকে নিজের কাজের কথাও মাথায় রাখতে হবে। বিসিবির দায়িত্ব শেষে আবার আইসিসিতে ফিরতে পারবো।”
৫৭ বছর বয়সি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সম্ভাব্যভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে আসছেন, এমনটাই মিলেছে ইঙ্গিত ।