বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১৬তম সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন তিনি। সেই সম্মেলনেই নিজের মেয়াদে কি করবেন তা শুনিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক।
আমিনুলের মেয়াদ কতদিন হবে তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে ৪ মাস হতে পারে।
আগামী অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত। স্বপ্ল সময়কে মাথায় রেখেই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, টি২০ ইনিংস খেলতে এসেছেন তিনি। ৫৭ বছর বয়সি সাবেক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে হয় সাত ঘণ্টা। আমি একটা কুইক টি২০ ইনিংস খেলতে এসেছি এখানে।
যেই ইনিংসটা আপনারা সকলে মনে রাখবেন।’
আমিনুলের সভাপতি হওয়াটা গতকালই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। যখন রাতে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ফারুকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বিসিবির আট পরিচালক চিঠি দিলে সাবেক অধিনায়কের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেয় এনএসসি।ফারুকের সেই জায়গায় আজ শুক্রবার (৩০ মে) আমিনুলকে কাউন্সিলর মনোনীত করে এনএসসি। কাউন্সিলর মনোনীত হয়েই আজ বিসিবির সভায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে আজ শুক্রবার দায়িত্ব নিয়েছেন বুলবুল। সাবেক এই ক্রিকেটার লম্বা সময় ধরে আইসিসিতে কাজ করছিলেন। তবে সম্প্রতি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ফোনেই সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ মিরপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল বলছিলেন, ‘এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আমি একটা ফোন কল পাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এনএসসি থেকে। বলা হয়, ‘আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে আপনি কি গ্রহণ করবেন?’ আমি অপেক্ষা করতাম একটা ফোন কলের জন্য।’
‘ফোনটা পেয়েছিলাম সম্মানিত ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে। তিনি যখন কলটা করেছেন, তখন পিছনে ফির তাকাইনি। শুধু ভেবেছি, কীভাবে সেই ফোনকলটাকে সম্মান করা যায়। তিনি ফোন করায় আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি। এখন আমার কাজ দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা সবাই মিলে একটা দল। আমরা বাংলাদেশকে সমর্থন করি। সবাই মিলেই দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করব।’ যোগ করেন বুলবুল।
ক্রিকেট বোর্ডের নিজের ভাবনা ও ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ, আমি ফেইল করব না।’