বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আজ রোববার (১ জুন) বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনে (বিএসজেএ) পা পড়েছিল। এদিন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সভাও করেন তিনি।
বুলবুল জানিয়েছেন, সবাই মিলে কিছু পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেগুলোই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে, ‘আজকেও আমরা এনএসসিতে ছিলাম, এই বিষয়ে কথা বলেছি। গতকালকে আমরা বোর্ড সভায় কিছু তালিকা তৈরি করেছি যে আমরা কী করতে চাই। সবাইকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তারা পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।’
আমরা স্পিরিট অব ক্রিকেট আপগ্রেড করবো। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, সবার জন্য হাই পারফরম্যান্স। শুধু ক্রিকেটার নয়, যারা কর্মকর্তা আছে, তাদের কাজও যেন হাই পারফর্মিং হয়। আর তিন নম্বর হচ্ছে, সারা দেশব্যাপী কানেক্ট করবো।’
সেটা কীভাবে তা জানিয়ে দিলেন বোর্ড প্রধান, ‘ক্রিকেট বোর্ড শুধু মিরপুরে বসে থাকবে না। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আঞ্চলিক সংস্থার কাঠামো নিয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমরা যেভাবে হোক, ব্যুরোক্রেটিক হয়ে হোক, এনএসসিও আমাদের সমর্থন দিচ্ছে।
এর আগেও আমরা শুধুমাত্র ক্রিকেট নিয়ে দেশের সব জায়গায় আঞ্চলিক সংস্থার মতো করে ছড়িয়ে যাচ্ছি খুব শিগগিরই। আইসিসির কাছে এটা আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন এটা আমাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। অবশ্যই ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সও এর সঙ্গে আছে।’
বোর্ডে সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছে কি না এই প্রশ্নে বুলবুল বললেন, ‘নান্নু ভাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আকরাম ভাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। লিপু ভাই, হাবিবুল বাশার... তারা তো একেকজন কিংবদন্তি।
তারা সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ। তারা মাঠের চরিত্র, উইকেটের চরিত্র, ড্রেসিং রুমের চরিত্র- সব জানেন। এই ধরনের সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। তবে এটা ঠিক যে একজন খেলোয়াড় সরাসরি ভালো এডমিনিস্ট্রেটর হয় না বা ভালো কোচ হয় না। সেই ব্যবস্থাগুলো করব।’
বাংলাদেশের বাস্তবতা ভালোভাবেই জানা আমিনুলের। ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে যে আমলতান্ত্রিক জটিলতার মুখে পড়তে পারেন, সেটিও আঁচ করতে পারছেন তিনি। তাই নতুন পরিকল্পনার পথ ধরে ক্রিকেটকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান সাবেক অধিনায়ক।
“ক্রিকেট বোর্ড শুধু মিরপুরে বসে থাকবে না। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার সময় আঞ্চলিক সংস্থার কাঠামো নিয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি। যেভাবেই হোক... আমলাতান্ত্রিক হয়ে হোক, এনএসসিও আমাদের সমর্থন দিচ্ছে।”
“এর আগে শুধুমাত্র ক্রিকেট নিয়ে দেশের সব জায়গায় আঞ্চলিক সংস্থার মতো করে ছড়িয়ে যাচ্ছি খুব শিগগির। আইসিসির কাছে এটা আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। অবশ্যই ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সও এর সঙ্গে আছে।”
দেশের ক্রিকেটের সব কিছু ঢাকা-কেন্দ্রিক হওয়ায় এখন জাতীয় ক্রিকেট লিগের যে কোনো বিভাগের দল গোছানোর পুরো প্রক্রিয়াটাই পরিচালনা করেন জাতীয় নির্বাচকরা। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতে চান আমিনুল।
শুধু তা-ই নয়, গ্রাম-উপজেলা থেকে শুরু ক্রমান্বয়ে জাতীয় দল পর্যন্ত উঠে আসার পথ তৈরি করার লক্ষ্য আইসিসিতে ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করা ৫৭ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের।
খেলোয়াড় তৈরির এই পথ তৈরির কাজে সাফল্যের জন্য আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকেও রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। আমিনুল জানালেন, নিজ নিজ অঞ্চলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিসিবি থেকে অনুদান পাবে আঞ্চলিক সংস্থাগুলো।