গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ফারুক আহমেদ, মিনহাজুল আবেদীন নান্নুরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সারির ক্রিকেটার। অনেক প্রথমের সাক্ষী হয়ে আছেন তারা। তবে মর্যাদার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নেই তাদের নাম। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়ায় নিজেদের বড় ভাগ্যবান মনে করছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বুধবার বিসিবি সভাপতি বুলবুল বলেছেন, “আমাদের আগের ক্রিকেটাররা যারা ছিলেন, ফারুক ভাই ছিলেন, আতাহার আলী ভাই ছিলেন, নান্নু ভাই ছিলেন-
অনেক ক্রিকেটার ছিল যারা টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। আমরা ওই সময়টায় নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করতাম যে প্রথম টেস্টে আমরা খেলতে পেরেছিলাম। যদিও আমাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ছিলাম, তারপরও আমরা মনে করি ভাগ্যবান।”
টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পাওয়ার ২৫ বছর উদযাপন করছে বিসিবি। আজ বুধবার (২৫ জুন) ঢাকাতে ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা কমপ্লেক্সে রজতজয়ন্তী উদযাপনে গিয়েছিলেন বুলবুল। আনন্দময় পরিবেশে শিশু কিশোরদের সঙ্গে ব্যাট বল নিয়ে মেতে উঠেন বিসিবির সভাপতি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একসঙ্গে হবেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা। তাদের দেওয়া হবে বিশেষ ব্লেজার ও সম্মাননা। যেখানে উপস্থিত থাকতে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়কে।
যিনি বিসিবির পরিচালক ছিলেন, হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আড়ালে চলে গিয়েছেন। তাকে নিয়ে আমিনুল বলেছেন, ‘‘দাওয়াতও দিয়েছে, কলও করা হয়েছে।’’
তবে দুর্জয় আসবেন না জানিয়ে দিয়েছেন, “সেই স্কোয়াডে যারা এভেইলেবল আছে, সবাইকে কালকে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে দাওয়াত দিয়েছি। মূলত আমাদের পূর্বের সেই ২৫ বছরের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া। আমাদের সেই ক্রিকেটের বন্ধুত্ব, যাতে অটুট থাকে এবং তাদেরকে সম্মাননা জানানো।’
দেশজুড়ে নানা আয়োজনে রজতজয়ন্তী উদ্যাপনের দুটি কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বুলবুল, ‘‘প্রোগ্রামটা আমরা দুইটা কারণে করেছি, একটা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদ্যাপন। আরেকটা হচ্ছে দেশব্যাপী বহু জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একটা ওয়াকআপ কল দেওয়া। এটা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে করতে পেরেছি।’’