পিএসজি ছেড়ে অনেক দিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে যোগ দিয়েছে কিলিয়ান এমবাপে। তবে এখনো বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের। পাল্টা অভিযোগে এবার পিএসজির বিরুদ্ধ ‘মানসিক হয়রানির’ অভিযোগ মামলা দায়ের করেছেন এমবাপে।
বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে চলা টানাপোড়েন অবশেষে গড়াল আইনি পথে। সাবেক ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিরুদ্ধে ‘নৈতিক হয়রানির’ অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি সুপারস্টার এমবাপে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করে। এমবাপের আইনজীবীরা গত এপ্রিলেই এ ধরনের পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
মামলায় এমবাপ্পে দাবি করেছেন, পিএসজি এখনো তার প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউরো (৬১ মিলিয়ন ডলার) বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। শুধু আর্থিক নয়, আচরণগত দিক থেকেও ক্লাব তাকে ‘নানাভাবে অপমান ও হেয়’ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
এমবাপের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুম শুরুর আগে চুক্তি নবায়ন না করায় তাকে মূল দল থেকে বাদ দেওয়া হয়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরেও নেওয়া হয়নি, এমনকি অনুশীলনেও অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়—যা একধরনের একঘরে করে রাখার (লোফটিং) মতো ঘটনা।
এমবাপে মনে করেন, পিএসজির আচরণ কেবল পেশাগত বৈষম্য নয়, বরং এক ধরনের ‘নৈতিক হয়রানি’। ২০২২ সালে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রস্তাবে চুক্তি করলেও শেষমেশ পিএসজির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি এই ফরাসি তারকা। ক্লাব তাকে ‘২০২৫’ লেখা জার্সি দিয়ে পরিচিত করালেও চুক্তির প্রকৃত মেয়াদ ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
অতিরিক্ত এক বছরের অপশনসহ। কিন্তু ২০২৩ সালের জুনে এমবাপ্পে জানিয়ে দেন, তিনি চুক্তি নবায়নের সেই অতিরিক্ত মেয়াদ আর নিতে রাজি নন। এই ঘোষণার পর পিএসজি পড়ে যায় দোটানায়। এমবাপেকে না বিক্রি করলে ক্লাব তাকে বিনামূল্যে হারাবে, এমন শঙ্কায় ক্লাব ও খেলোয়াড়ের মধ্যে শুরু হয় নজিরবিহীন টানাপোড়েন।
এমবাপে দাবি করেন, পিএসজি তাকে আগে দলবদলের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তা মানেনি। ফলে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পিএসজি অবশ্য এমবাপেকে বিনা মূল্যে ছাড়তে রাজি হয়নি। এমনকি সৌদি ক্লাব আল হিলালের ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।