মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

মনোনয়ন জমা দিলেন কমলা হ্যারিস

'প্রতিটি ভোট অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করব আর জনগণের শক্তিতে বলীয়ান প্রচারই জয়ী হবে'
যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
মনোনয়ন জমা দিলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস

সব জল্পনার অবসান টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন বাইডেন। পরে সাবেক মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্রেটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার নাম ঘোষণা করেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে কমলা নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। কমলার পোস্টে গিয়ে দেখা যায়, ২৭ জুলাই সকাল ৬-৪৭ মিনিটে এ তথ্য জানান তিনি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি

কমলা লিখেছেন, 'আজ, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ফর্মগুলোতে স্বাক্ষর করেছি। আমি প্রতিটি ভোট অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করব। আর নভেম্বরে আমাদের জনগণের শক্তিতে বলীয়ান প্রচারই জয়ী হবে।'

1

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার স্ত্রী মিশেল ওবামা কমলাকে ডেমোক্রেটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করার কয়েক ঘণ্টা পরই এ খবর সামনে এলো। 'এক্স' পোস্টে ওবামা জানিয়েছিলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী মনে করেন যে, তাদের 'বন্ধু' কমলা হ্যারিস আমেরিকার একজন দুর্দান্ত প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।

এদিকে, সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। 'রয়টার্স' পরিচালিত ওই জরিপে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট আর কমলা পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। তবে ডেমোক্রেটদের পক্ষ এখন পর্যন্ত কমলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা হবে ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কনভেনশনে। আগামী মাসে শিকাগোতে এই কনভেনশন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই দলের প্রতিনিধিরা বেছে নেবেন তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে।

কমলাকে আক্রমণ করতে পরিকল্পনা

আঁটছে ট্রাম্প শিবির

এদিকে, তিন ইসু্যতে কমলা হ্যারিসকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা আঁটছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির। এই তিন ইসু্য হলো- কমলা বামপন্থি, অভিবাসন এবং কৌঁসুলি থাকার সময় কমলার ভূমিকা।

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে নেমে ব্যর্থ হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। তিনি পরে প্রার্থিতা পাওয়ার সেই প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এর আগ পর্যন্ত কমলা যে প্রচার চালিয়েছিলেন, এতে কিছু ঘাটতি ছিল। তিনি পরিষ্কার কোনো বার্তা দিতে পারেননি। তখন তাকে কিছু ভুল ও অসমীচীন কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে। ওই সময় কমলা ছিলেন সিনেটর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা পেতে অন্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর মতো কমলাও বামপন্থার দিকে ঝুঁকেছিলেন। এটাকেই অস্ত্র করছে ট্রাম্প শিবির।

রিপাবলিকানরা এরই মধ্যে অভিবাসন-সংক্রান্ত ইসু্যটিকে তার (কমলা) গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা তাকে প্রশাসনের 'বর্ডার জার' বলে উলেস্নখ করছেন, যা সঠিক নয়। রিপাবলিকানরা এ ক্ষেত্রে ২০২২ সালে কমলা হ্যারিসের একটি সাক্ষাৎকারে অভিবাসন নিয়ে তার বক্তব্য প্রচার করছে। তখন কমলা বলেছিলেন, 'সীমান্ত নিরাপদ আছে'। পাশাপাশি কমলা যেহেতু বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনেরই ভাইস প্রেসিডেন্ট, সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসনের কর্মকান্ডের দায় তার ওপরও বর্তায়- সেটি ভালো কাজ হোক কিংবা খারাপ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে