বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

সিরিয়ায় আইএস মাথাচাড়া দেওয়ার ঝুঁঁকি দ্বিগুণ : কুর্দি কমান্ডার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৮
সিরিয়ায় আইএস মাথাচাড়া দেওয়ার ঝুঁঁকি দ্বিগুণ : কুর্দি কমান্ডার
সিরিয়ায় আইএস মাথাচাড়া দেওয়ার ঝুঁঁকি দ্বিগুণ : কুর্দি কমান্ডার

সিরিয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নবরূপান্তরের এই সময়ে পুরোনো হুমকি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বিদ্রোহীদের ঝড়ো অভিযানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে বিরাজ করছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

আর সেই সুযোগে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর পুনরুত্থানের পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে মনে করেন নেতৃস্থানীয় এক কুর্দি কমান্ডার।

1

২০১৯ সালে সিরিয়ায় আইএস-কে পরাজিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন এই কমান্ডার। তিনি হচ্ছেন- জেনারেল মাজলুম আবদি। আইএস এরই মধ্যে ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি মিলিশিয়া অ্যালায়েন্স 'সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস'(এসডিএফ)- এর এই জেনারেল বলেন, "দায়েশের (আইএস) তৎপরতা উলেস্নখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথাচাড়া দেওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের সক্ষমতা এখন আগের চেয়েও বেশি। তাদের সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে।"

গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মাজলুম বলেন, সিরিয়ার সরকারের সেনা বাহিনীর ফেলে যাওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ আইএস জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে।

সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, "সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এসডিএফ পরিচালিত কারাগারগুলো আইএস জঙ্গিরা ভাঙার চেষ্টা করবে- এমন হুমকি বাস্তব। এসব কারাগারে আইএস এর প্রায় ১০ হাজার সদস্য বন্দি হয়ে আছে।

তাছাড়া, এসডিএফ- এর নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শিবিরে আইএস জঙ্গিদের পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য আছে। এসডিএফ জেনারেল মাজলুম আবদি বিবিসি-কে গোপন একটি স্থান থেকে গভীর রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন।

বাশার-আল-আসাদ সরকারের আমলে চারবার আটক হয়েছিলেন মাজলুম। আসাদের পতনকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি। পুরোনো লড়াই আবার নতুন করে শুরু করতে হতে পারে- সেই চিন্তায় হতাশ লাগছে বলে মাজলুম স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, "আমরা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এতে আমাদের ১২ হাজার সদস্যের প্রাণ গেছে। আমার মনে হয়, একটা পর্যায়ে আমরা আগে যেখানে ছিলাম, সেখানেই আবার আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।"

মাজলুম জানান, আইএস এর পুনরুত্থানের ঝুঁকি বেড়েছে। কারণ, এসডিএফ এর ওপর প্রতিবেশী তুরস্ক এবং তাদের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা বেড়েছে। এতে এসডিএফ অন্য জায়গা থেকে সেখানে কিছু সেনা এই লড়াইয়ের জন্য পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে এসডিএফ-কে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও বন্ধ করতে হচ্ছে। তাছাড়া, এসডিএফ এর কারাগার পাহারায় থাকা হাজার সদস্যের বাহিনীর শত শত রক্ষী নিজেদের গ্রাম রক্ষার জন্য বাড়ি ফিরে গেছে।

তুরস্ক এসডিএফ কে মূলত পিকেকে এর বর্ধিত সংস্করণ হিসাবেই দেখে। কুর্দি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে গোষ্ঠী তুরস্কে নিষিদ্ধ। কারণ, গোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পিকেকে গোষ্ঠীকে 'সন্ত্রাসী' তালিকাভুক্ত করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে