রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছর পর ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য আনুমানিক ব্যয় বেড়ে ৫২৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউক্রেন সরকার যৌথভাবে এই হিসাব প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নতুন এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ক্ষতি ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের ৪৮৬ বিলিয়ন ডলারের পূর্ববর্তী অনুমানের তুলনায় এ বছরের হিসাব ৭ শতাংশ বেশি। এতে দেখা গেছে, আবাসন, পরিবহন, জ্বালানি, বাণিজ্য এবং শিক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই গবেষণা সরাসরি অবকাঠামোর ক্ষতি, জনগণের জীবন-জীবিকা এবং পুনর্গঠনের ব্যয় নির্ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের জন্য ইউক্রেন সরকার ৭ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। তবে প্রয়োজনীয় অর্থের ঘাটতি এখনও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলাদা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যােেখার সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি সমাধান আসতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোনেলা বাসানি বলেন, এই মূল্যায়নে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের অগ্রগতি প্রতিফলিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ ১৫২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মোট আবাসন খাতের ১৩ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ২৫ লাখেরও বেশি পরিবারকে প্রভাবিত করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনের পুনর্গঠনে আবাসন খাতে ৮৪ বিলিয়ন ডলার, পরিবহন খাতে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, জ্বালানি ও খনিতে ৬৮ বিলিয়ন ডলার, বাণিজ্য ও শিল্পে ৬৪ বিলিয়ন ডলার এবং কৃষিতে ৫৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।