নাটোরের নলডাঙ্গায় ছাগলের জন্য ভুট্টা ক্ষেতে ঘাস কাটতে গেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। গত ২১ জুন (শনিবার) সকালে উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের ফসলি মাঠে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এর ৭ দিন পর গতকাল শনিবার (২৮ জুন) বিকালে প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
এদিকে, ধর্ষণের ৫ দিন পর থানায় মামালা করতে না দিয়ে ধাপাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের রামশাকাজিপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫)। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ (৪৫)একই গ্রামের বাসিন্দা।জানা যায়, গত ২১ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামশাকাজিপুর দক্ষিন পূর্বপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূ গরু ছাগলের জন্য বাড়ির পাশে কাশোবাড়িয়া মাঠে ভুট্টা ক্ষেতে ঘাস কাটতে যান।
এ সময় প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম গৃহবধূকে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি প্রথমে জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তারা থানায় মামলা করতে না দিয়ে ঘটনার ৫ দিন পর বুধবার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসা করতে বাধ্য করেন।পরে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা ভুক্তভোগি গৃহবধূর বাড়িতে গেলে ভুক্তভোগীর মেয়ে জামাই বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আপোস মিমাংসা করা হয়েছে। আমরা থানায় মামলা করবো না এবং আপনাদের কাছে কিছুই বলবো না।
পরে গত ২৮ জুন শনিবার নলডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডেকে এনে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু করতে বলেন।’
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মেয়ে জামাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, ‘গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গ আমার কোনো কথা হয়নি। আমি বিষয়টি জানার পর শনিবার তার মেয়ে জামাইকে ফোন দিলে তারা থানায় এসে শফিকুল ইসলাম নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।