হাজারও স্বপ্নসারথীর স্বপ্নের সোপান হয়ে এগিয়ে যাক
রবিউস সানি জোহা
জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ
'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার দীর্ঘ পথচলায় কালের অবিচল সাক্ষী হয়ে সগৌরবে উচ্চশিক্ষার প্রদীপ্ত মশাল নিয়ে ছুটে চলেছে দেশের প্রতিটি প্রান্তরে। এই পথ চলার মধ্যে রয়েছে অনেক প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি ও গৌরব। সব অপ্রাপ্তি গুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রত্যাশার জায়গা পরিস্ফুটিত হোক। শিক্ষা গবেষণা ও আদর্শিক রাজনৈতিক চর্চায় এগিয়ে যাক প্রাণের বিদ্যাপীঠ। নিরসন হোক আবাসন সংকট, শ্রেণিকক্ষ, যানবাহন ও সেশনজট নামক অভিশাপ এবং প্রশাসনিক জটিলতাসহ যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পদচারণা করুক অপ্রতিরোধ্য গতিতে। হাজারও স্বপ্নসারথীর স্বপ্নের সোপান হয়ে এগিয়ে যাক প্রাণের এই বিদ্যাপীঠ।'
প্রাণের বিদ্যাপীঠের গৌরবের ধারা সুদীর্ঘ প্রসারিত হোক
সুলতানা আহমেদ
টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বংলার প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ আজ প্রতিষ্ঠার ৪৬তম বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় পদচারণার সাক্ষী হয়ে আছে অসংখ্য প্রাপ্তি এবং সৃষ্ট মূল্যবোধ। আগামীতে সেশনজট নিরসন, প্রশাসনিক জটিলতা এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ নিশ্চিত করবে, এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নেতৃত্ব বিকাশ ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা। আমার প্রাণের বিদ্যাপীঠের গৌরবের ধারা সুদীর্ঘ প্রসারিত হোক। জ্ঞান, নৈতিকতা, এবং প্রগতির এই মশালটি প্রজ্বলিত থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রকে যেন বিশ্বমানে উন্নীত করা হয়
ফাহিম ফয়সাল
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেদিন প্রথম পা রেখেছিলাম চারদিকের নিস্তব্ধতায় কেমন যেন নিজেকে আড়ষ্ট মনে হচ্ছিল। তবুও ভোররাত্রের আলো-আঁধারিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছিল। এরপর ধীরে ধীরে আপন হতে লাগল ক্যাম্পাসের বিল্ডিং, গাছপালা, খেলার মাঠ ইত্যাদি সবকিছু। পরিণত হলো আমার দ্বিতীয় বাসা তথা সেকেন্ড হোমে। ছুটিতে বাসায় গেলে প্রতি মুহূর্ত যেন চোখে হারাই এই ছায়াঘেরা সবুজ ক্যাম্পাসকে। সম্প্রতি চব্বিশের আন্দোলনে এই ক্যাম্পাস শিখিয়েছে সত্যের পক্ষে আওয়াজ তুলতে ও মিথ্যার বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন দুর্নীতি শূন্যে নামিয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রকে যেন বিশ্বমানে উন্নীত করা হয়। প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নির্বিঘ্নে ও পূর্ণ নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। সর্বোপরি প্রতিটি শিক্ষার্থীর মতামতকে মূল্যায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক সংস্কার করা হয়।'
শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠুক ৪৬ বছরের প্রিয় বিদ্যাপীঠে
সামিয়া জামান
আল ফিকাহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ
'১৭৫ একরের প্রিয় বিদ্যাপীঠ ৪৬ বছরের দ্বারপ্রান্তে। এই ৪৬ বছরে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির নানা গল্প তৈরি হয়েছে। এই সুদীর্ঘ পথচলায় যুক্ত হয়েছে নানা রকম প্রত্যাশা। শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে। শিক্ষার্থীদের কিভাবে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি অপরাজনীতি নিষিদ্ধ, আবাসিক হলে খাবারের মান বৃদ্ধি, সেশনজট নিরসনসহ শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠুক ৪৬ বছরের প্রিয় বিদ্যাপীঠে। এগিয়ে যাক প্রিয় বিদ্যাপীঠ গড়ে তুলুক দক্ষ মানবসম্পদ।'
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) চালু হোক
ফারুক হোসেন
টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
'প্রিয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। হাঁটি হাঁটি পা-পা করতে করতে আজ প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬তম বছরে পদার্পণ করছে। সুদীর্ঘ পথচলায় চাওয়া-পাওয়া প্রত্যাশার খাতা দীর্ঘ। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত গ্রাজুয়েট তৈরি করা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার। অপরাজনীতি লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) চালু হোক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক গড়ে তুলুক বিশ্বের দরবারে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত সুদক্ষ গ্রাজুয়েট।'
বিশ্বের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
মো: আব্দুলস্নাহ আল মুনাইম
শিক্ষার্থী, টু্যরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
একুশ শতকের উপযোগী বিশ্বমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরির ভিশন নিয়ে ছুটে চলছে দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ। ৪৬ বছরে পা রাখলেও গবেষণা খাতে তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বাজেট ও ল্যাব সংকটের কারণে এখনো পিছিয়ে আছে ইবির গবেষণা ক্ষেত্র। এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রত্যাশা সমৃদ্ধ হোক গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি করুক বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট। দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সব প্রত্যাশা পূরণ হবে এটাই এ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা আমাদের কাছে।