ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার টু্যরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২৪ সালের বার্ষিক একাডেমিক টু্যর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ৪ রাত ৩ দিনব্যাপী এ টু্যর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের দর্শনীয় স্থান ছিল বান্দরবান এবং কক্সবাজার। এতে বিভাগের তিনটি ব্যাচের (১৯-২০, ২০-২১ ও ২১-২২ সেশন) প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে।
২৩ তারিখ দুপুর ২.৩০ মিনিটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ফ্যাকাল্টির সামনে থেকে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রান্তিক ও দুর্বার বাস যোগে শিক্ষার্থীরা যাত্রা করেন। প্রথম দিনের গন্তব্য ছিল বান্দরবান। পরদিন ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বান্দরবানের হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালিতে পৌঁছায়। সেখানে ফ্রেশ হয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হোটেলে রেখে জাফরান রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করে সবাই বেরিয়ে পড়ে নীলাচলের উদ্দেশ্যে। পাহাড়ি রাস্তায় চান্দের গাড়ি আঁকাবাঁকা পথে চলতে থাকে। তারপর মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে রওনা দেয় নীলগিরির উদ্দেশ্যে। প্রতিমধ্যে তারা পাহাড়ের পাদদেশে দুপুরের খাবার খায়। নীলগিরি ভ্রমণ শেষে রাত ৮টার দিকে হোটেলে ফিরে আসে এবং রাতের খাবার খেয়ে সেখানে রাত্রি যাপন করে।
পরদিন সকালের নাস্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় বাসযোগে রওনা হয় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। দুপুর ১:৩০ নাগাদ কক্সবাজারের হোটেল ওফিলিয়াতে পৌঁছায়। হোটেল চেক ইন করে পউশি বাংলা রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খায়। পরবর্তীতে বিকলের দিকে কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী বার্মিজ মার্কেটে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে সবাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যায়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে সবার চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। রাতের সমুদ্র উপভোগ করে সবাই। পরদিন সকালের নাস্তা করে সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলের উদ্দেশ্যে যায় সবাই। সেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই মেতে ওঠে নতুন এক উৎসবে। বিচে ফুটবল খেলা, ঝিনুক কুরানো, ছবি তোলা, ঘোড়ায় চড়াসহ নানারকম আয়োজন ছিল।
তারপর হোটেলে ফিরে এসে সেখান থেকে চেক আউট করে রওনা দেয় ইনানী সী বিচ, মেরিন ড্রাইভ রোড, পাটুয়ারটেক বিচ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। সারাদিন বিচের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। সন্ধ্যার দিকে পাটুয়ারটেক বিচ পয়েন্টের্ যাফেল ড্র-এর আয়োজন করা হয় এবং সবাই মিলে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা হয়। সন্ধ্যা ৭:৩০ এর দিকে তারা বাসযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ৯:৩০-এর দিকে হোটেল সৌদিয়ায় রাতের খাবার খেয়ে আবার রওনা হয়। পরদিন দুপুর ১২.৪৫ মিনিটের দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়।
টু্যরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের বিভাগের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিবছর একটি টু্যর আয়োজন করা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন। এবারে আমাদের শিক্ষার্থীরাই সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে। তাই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একটি সফল টু্যর সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।' শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছিল নানারকম উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা। একই সঙ্গে পাহাড় ও সমুদ্র দেখে তারা বিমোহিত। সবাই খুব আনন্দের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টু্যর উপভোগ করে বলে জানায় তারা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এটিই ছিল শেষ একাডেমিক টু্যর। প্রতিবছর বিভাগ থেকে এমন টু্যর হবে বলে আশাবাদী সবাই।