সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোরবানির পশুর হাটে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে হাটগুলোয় গরু নিয়ে বিক্রেতারা এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা নেই। এতে বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদারেরাও পড়েছেন বিপাকে।
রোববার (১ জুন) বিকেলে জগন্নাথপুর পৌর সদরের পশুর হাটে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গরু নিয়ে হাটে আসছেন অনেকেই, কিন্তু বৃষ্টির কারণে হাটে ব্যাপারী বা ক্রেতার উপস্থিতি কম। তিন দিন ধরে হওয়া বৃষ্টির কারণে পশুর হাটগুলো ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতারা হতাশ। যা-ও দু-একজন ক্রেতা আসছেন, তারাও দরদাম করে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
উপজেলার গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের ব্যাপারী সিরাজুর নামের এক গরু বিক্রেতা বলেন, আমি গরু নিয়ে বাজারে এসে বিপাকে পড়েছি। বিকেল ৫টা বাজলেও বিক্রি করতে পারিনি। কারণ সুনামগঞ্জ সহ অন্য জায়গা থেকে পাইকাররা এখানে আসতেন, তারা আজ বৃষ্টির কারণে আসতে পারেননি।
হবিব গ্রামের গরু বিক্রেতা রহমত আলী জানান, আমি ৪টি গরু হাটে এনেছি, কিন্তু হাটে বেচাবিক্রি হচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম থাকায় গরুর দামও বেশি উঠছে না। ভালো দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশি জাতের একটি ষাঁড় কিনতে বাজারে এসেছি। বৃষ্টির কারণে বাজারে কাদা হয়ে গিয়েছে। গরু পছন্দ করতে পুরো বাজার ঘুরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না, তাই গরু কেনা হচ্ছে না।
উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের ক্রেতা আক্তার মিয়া জানান, গত বছর কোরবানির ঈদের গরু কিনেছিলাম এক লাখ টাকায়। আজ জগন্নাথপুর বাজারে হাটে আসছি গরু ক্রয় করার জন্য কিন্তু বর্তমানে বৃষ্টির কারণে ক্রেতা উপস্থিতি কম।
ইজারাদার সোহেল আহমদ বলেন, হাটে অন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর সংখ্যা বেশি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম। যদি আবহাওয়া ভালো থাকত, তাহলে আমাদের টার্গেট পূরণ হতো। হাটে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হাট কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, উপজেলার ৩টি স্থানে কুরবানীর হাট বসছে। এবার খামারীরা গরু, ছাগল আসন্ন কোরবানির জন্য মোটাতাজা করেছেন। আশা করছি খামারিরা তাদের পালনকৃত পশুর ন্যায্য মূল্য পাবেন। আমি নিয়মিত পশুর হাট গুলো দেখা শুনা করি। কোন পশু রোগাকান্ত নয়। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির জন্য হাপানি রোগে আক্রান্ত পশু পাওয়া গেছে।