বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শৃঙ্খলা ফিরেনি গণপরিবহণে

সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে
নতুনধারা
  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

নানা ধরনের উদ্যোগের পরও গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরেনি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে নানামুখী সংকট ও দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। তাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পরিবহণ সংকটের কারণে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাস না পেয়ে তাদের দীর্ঘপথ হেঁটে যেতে হচ্ছে। রাজধানীর সড়কে চলাচলকারী বাসে যদি বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট না থাকে তবে সেই বাসকে জরিমানা করা হচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

এটা সবার জানা, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। এর প্রভাব পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে পুনর্র্নির্ধারণ করা হয়েছে বাস-মিনিবাসসহ পরিবহণ ভাড়াও। সরকার নির্ধারিত এ ভাড়া যেন মেনে চলা হয়, সেজন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দূরত্ব অনুসারে পরিবহণ মালিপক্ষকে ভাড়ার চার্ট তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু ঢাকার সব পরিবহণে এই চার্ট দেখা যাচ্ছে না এবং অনেক পরিবহণ এই চার্টের অতিরিক্ত ভাড়াও নিচ্ছে। সম্প্রতি ওয়ে বিল বাতিল করা হয়েছে। অথচ অনেক পরিবহণে এটা মানা হচ্ছে না। এটা দেখার যেন কেউ নেই।

সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও বাসে খেয়ালখুশিমতো বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গণপরিবহণে ভাড়া আদায় কিংবা সার্ভিস সংক্রান্ত নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অনেক আগে থেকেই। এর আগেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে সব গণপরিবহণের ভাড়া বাড়িয়েছিল সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও, সে সময়ও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে সারাদেশে বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি আন্তঃজেলা বাসের ভাড়া নিয়েও চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।

সরকারিভাবে নতুন করে গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর পর বাস শ্রমিকরা তার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করায় যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে। বিভিন্ন রুটে গণপরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পরিবহণ শ্রমিকরা যাত্রীদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেছে। কাউকে কাউকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়েছে।

আমরা মনে করি, ভাড়া আদায়ে কোনো প্রকার নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় সেটি মনিটরিং করতে হবে। গণপরিবহণের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করা না হয় সেটি আমলে নেওয়া জরুরি। যে করেই হোক গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। জনগণকে জিম্মি করা কিংবা জনগণের পকেট কাটা বন্ধ করতে হবে। সরকারের কঠোর নজরদারিই কেবল পারে গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে