বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে ভাইরাল কনটেন্ট ও ইন্টারনেট ফেমের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বেড়ে চলেছে, সেখানে একটি অশুভ প্রবণতা ক্রমশ গড়ে উঠছে — ব্যক্তিগত বা ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলির অনুসন্ধান এবং শেয়ারিং।
সম্প্রতি “সপ্তনা শাহ ভাইরাল ভিডিও লিঙ্ক” এর প্রতি অনুসন্ধানকারী হাজার হাজার ইউজারের প্রবণতা এই প্রবণতার এক স্পষ্ট উদাহরণ। কিন্তু, কেউ কি ভেবেছে, যে মুহূর্তের জন্য বারণ করা কনটেন্ট দেখার জন্য আমরা যে প্রশ্নগুলো করি, তা কেবল ক্ষতিকর নয়, ব্যক্তির জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে?
“সপ্তনা শাহ ভাইরাল ভিডিও লিঙ্ক” নিয়ে হাজার হাজার ব্যবহারকারী বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান শুরু করেছে, যা সাধারণত একটি ফাঁস হওয়া বা বিতর্কিত ভিডিও দেখতে চাওয়ার লক্ষ্যে করা হচ্ছে। কিন্তু একথা খুব কম লোকই বুঝতে পারে যে, এইসব ভিডিওর পিছনে থাকে একজন মানুষ, যার জীবন কখনো কখনো স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। যে কৌতূহল এই আচরণকে প্ররোচিত করে, তা কেবল গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে না; এটি একটি বিষাক্ত পরিবেশও তৈরি করে যা শোষণের উপর ভিত্তি করে বেড়ে ওঠে।
স্পষ্টভাবে বললে, এমন ভিডিওটি সত্যি কি না, তা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যারা এমন কনটেন্ট শেয়ার করে, অনুসন্ধান করে বা হোস্ট করে, তাদের দ্বারা যে নৈতিক সীমা লঙ্ঘিত হয়। লিক হওয়া মিডিয়া উপভোগের এই সংস্কৃতি সহানুভূতির ক্ষতি করছে এবং বাস্তব মানুষগুলোকে কেবল শিরোনামে পরিণত করছে। “সপ্তনা শাহ” এর মতো ক্ষেত্রে, এমনকি ভিত্তিহীন গুজবও এক ধরনের ডিজিটাল দুঃখজনক শিকার তৈরি করতে পারে, যা মানসিক চাপ, হয়রানি এবং খ্যাতি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এই ধরনের আচরণ শুধুমাত্র ডিজিটাল সংস্কৃতিরই ক্ষতি করে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্য, আইনগত সঙ্গতি এবং সম্প্রদায়ের বিশ্বাসকে অস্থির করে তোলে। বেশিরভাগ মানুষ জানে না যে, এমন কনটেন্ট খাওয়া তাদেরও অপরাধের অংশীদার করে তোলে। আইনগতভাবে, আপনি হয়তো আপলোডকারী না, কিন্তু আপনি এখনও চাহিদা পূরণের মাধ্যমে অপরাধে অংশ নিচ্ছেন।