শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

আগামী নির্বাচনের বেশি সময় নেই। যেভাবে রাজনীতি এগোচ্ছে তাতে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই শান্তিপ্রিয় দেশবাসী মনে করে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক। সব পক্ষই ধৈর্য ধারণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশ এক অরাজকতা বিশৃঙ্খলার দিকে এগিয়ে যাবে- তাতে দেশের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে এর দায়ভার নেবে কে?
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৪ সালে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে শুরু হয় নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক। বর্তমান সরকারের অধীনে না অন্য কারো অধীনে নির্বাচন এ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক পালটাপালটি অভিযোগ, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, অতি কথন যা- রাজনীতিতে দেখা দিতে পারে নানা অঘটন। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সাংবিধানিক ধারায় যথাসময়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রই পরিচালিত হয় সংবিধান মোতাবেক। সংবিধান ছাড়া কোনো রাষ্ট্রই চলতে পারে না। এজন্য সংবিধানকে রাষ্ট্রের দর্পণ বলা হয়। সংবিধান মোতাবেক বাংলাদেশ সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। ৫ বছর পরপর দেশের নির্বাচন হয় যাকে আমরা জাতীয় নির্বাচন বলি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের বৈধ পথ হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রে বিভিন্ন দল থাকবে, মতের মানুষ থাকবে ও বিরোধী দল থাকবে এগুলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। গণতন্ত্র শিক্ষা দেয় সহনশীলতার সহমর্মিতার, অপরের মতামতকে সম্মান জানানোর। বরং গণতন্ত্র হচ্ছে সব দল মতের মানুষকে একীভূত করে দেশের উন্নয়ন ঘটানো। এজন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন শাসন ব্যবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বগ্রহণযোগ্য ও শ্রেষ্ঠ শাসন ব্যবস্থা। অন্যান্য শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে গণতন্ত্রে জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমাদের সংবিধানে উলেস্নখ রয়েছে, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। আর নির্বাচন হবে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। জাতি হিসেবে আমাদের যেমন প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি হতাশাও। বাঙালি জাতির সৌভাগ্য বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনা নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন হয়। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাঙালি জাতিকে ধাপে ধাপে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে একাত্তরে পৌঁছে দেয়। এটা বাঙালি জাতির বড় সাফল্য ও গৌরব। আর হতাশার কথা যদি বলা হয়, তাহলে ৫২ বছরের এ দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে জাতীয় ইসু্যতে কোনো ঐক্য গড়ে ওঠেনি।

1

যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়ন। টানা প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা শাসক দল আওয়ামী লীগ দেশের অগ্রগতি উন্নয়নে কাজ করলেও গণতান্ত্রিক চর্চা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি, বিদু্যৎ সংকটসহ নানা কারণে বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে সরকারকে হটানো, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা মাঠে নেমেছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশ করছে। শাসক দলও বসে নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাংলাদেশের মানুষ যে খুব ভালো আছে এমনটি বলার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ মুহূর্তে সরকারকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কেননা, বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাংলাদেশ যে সংকটে রয়েছে এ অস্বীকার করার উপাই নেই। সংগতকারণে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ভালো নয়। চাল, ডাল, চিনি, ছোলা ও বুট সব ধরনের মসলা, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। বর্তমান দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কিছুতেই থামছে না। দেশের মানুষের কিছুটা হলেও আয় বেড়েছে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠী টিকে থাকার লড়ায়ে অবতীর্ণ। বাজারে এ নিত্যপণ্যের দাম অতীতকালের সর্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

দীর্ঘদিন থেকে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তারা বলছে, দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, গণতন্ত্র নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে না। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সরকার ঘোষণা করেছে, যেসব দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের নিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সরকার তা করতে যদি সমর্থ হয় তাহলে সে সরকারের বিএনপি'র কোনো সদস্য থাকার সুযোগ নেই। কারণ ইতোমধ্যে তারা সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা মনে করি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। নিজেদের বিবাদ নিজেদেরই মিটানো ভালো। এক্ষেত্রে কোনো বিদেশি কূটনীতিক বা কোনো রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করা মোটেই সমীচীন নয়।

আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের মৃতু্য নেই। তবে, সে আশাবাদ সফল হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে, এ প্রশ্নের জবাব সবার এক হবে না। ক্ষমতাসীনরা সব সময় গণতন্ত্রের জিকির করেন। আর যারা ক্ষমতার বাইরে থাকেন তারা গণতন্ত্র নেই নেই বলে চিৎকার করে এ কাজে তারা নানা ধরনের কৌশল গ্রহণ করেন। সহজ ভাষায় বলা যায়, ক্ষমতায় থাকলে হয় গণতান্ত্রিক আর বিরোধী বা ক্ষমতার বাইরে থাকলে হয় অগণতান্ত্রিক। এ ধরনের মানসিকতা আমাদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা যায় প্রকট। তবে, গণতন্ত্রের নানা ধরন রয়েছে। কিন্তু সব রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ধরন এক নয়। এটা নির্ভর করে মূলত রাষ্ট্রের নীতি ও শাসক দলের ওপর। কোনো শাসক দল যদি মনে করে, গণতন্ত্রকে সংকুুচিত করবে তাহলে গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। তবুও সে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক বলতে হবে অন্য কিছু নয়। কারণ গণতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে বর্তমান সরকারের নানা টানাপড়েন চলছে। এ নিয়ে দেশে রাজনীতিতে কম আলোচনাও হচ্ছে না। বিশেষ করে আমেরিকার ভিসা নীতি। এ ভিসা নীতি নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলছে, এ ভিসা নীতি সব দলের জন্য সতর্ক বার্তা। আবার কেউ বলছে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটা বার্তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বর্তমান সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, কে আমাদের ভিসা দেবে আর নিষেধাজ্ঞা দেবে সেটা নিয়ে মাথাব্যথা করে কোনো লাভ নেই।... আমেরিকা না গেলে কিছু আসে যায় না। আমরা নিজের পায়ে চলব নিজের দেশকে গড়ে তুলব। কারো মুখাপেক্ষি হয়ে নয়। আমেরিকার সঙ্গে বর্তমান সরকারের টানাপড়েনের কয়েকটি কারণ রয়েছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত তৈরি। ভূ-রাজনীতিতে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো নয়। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভীত শক্ত হওয়ায় আমেরিকা এটাকে ভালো নজরে দেখছে না। আমেরিকার ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শেখ হাসিনার শক্ত অবস্থানকে চীন সমর্থন করে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে চীন প্রতিশ্রম্নতিও দেয়। চীনের এ প্রতিশ্রম্নতি আমেরিকা ভালো নজরে দেখছে না।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, এক সময় ব্রিটিশরা অর্ধপৃথিবী তথা ভারত উপমহাদেশ শাসন করে। তারা শাসনের পাশাপাশি এ বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের কিছু কল্যাণমূলক কাজও করে গেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, রাস্তাঘাট তথা রেললাইন স্থাপনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে। তারা শাসন শোষণের মধ্য দিয়েও গঠনমূলক কাজ করেছে। আমেরিকা পরাশক্তি হওয়া সত্ত্ব্বেও এ অঞ্চলে মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেছে কি? তারা দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর আধিপত্য বিস্তারে নানা কৌশল প্রয়োগ করে। ফলে এক রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক রাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধে কোটি কোটি অর্থ অপচয় হচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অর্থ, সম্পদ, অস্ত্রে কিছু রাষ্ট্র আছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের মোড়লীপনা সহ্য করে না। বাংলাদেশ আগের অবস্থানে আর নেই। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ছাড়াও চীন, জামার্নি, কোরিয়া, তুরস্ক, ব্রিটেনসহ বেশ কিছু রাষ্ট্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমর্থন ও প্রশংসা করেন। যে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচারের কথা বলে সেখানেও তো এসব পদদলিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কোন যুক্তি ও বিবেচনায় কী কারণে খুনিদের ফেরত দিচ্ছে না। এটা কী তাদের ন্যায়বিচারের নমুনা?

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রেই স্বচ্ছ, পরিশীলিত গণতন্ত্র নেই। কোনো সরকারের একার পক্ষে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া বা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দাঁড় করানো কঠিন। গণতন্ত্রের শর্তই হচ্ছে, পরমতসহিষ্ণুতা। কিন্তু এ সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দৃশ্যমান নয়। তবুও যে গণতন্ত্র রয়েছে তাকে কীভাবে স্বচ্ছ, পরিশীলিত ও উন্নয়নের কাজে লাগানো যায় সে উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি একে অপরের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য, পালটাপালটি সভা সমাবেশ চলছে। কেউ বসে নেই। অভিযোগ নতুন কোনো কিছু নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে কয়েকটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়ে গেল। এ নির্বাচনগুলোর মধ্যে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় সবকটিতেই অন্য কিছু দলের প্রার্থী অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনে তাদের বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করে।

সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশবাসী প্রত্যাশা করে। জনগণ চায় এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। তবে, দীর্ঘ কয়েক বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে এবং দেশবাসী প্রত্যাশা করে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। জনগণ চায় দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রাখা। তাই ভোটাররা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। আমাদের দেশে যে কোনো সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। কারণ নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে পূর্ববর্তী সরকারের অনেক পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা (উন্নয়ন প্রকল্প) বাতিল করে। আর এটা করা হয় মূলত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে। এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অপসংস্কৃতি চলে এসেছে অনেক আগে থেকেই। অথচ উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এ ধরনের কোনো সংস্কৃতি নেই।

আগামী নির্বাচনের বেশি সময় নেই। যেভাবে রাজনীতি এগোচ্ছে তাতে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই শান্তিপ্রিয় দেশবাসী মনে করে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক। সব পক্ষই ধৈর্য ধারণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা দেশের জন্য মঙ্গলজনক। এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশ এক অরাজকতা বিশৃঙ্খলার দিকে এগিয়ে যাবে- তাতে দেশের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে এর দায়ভার নেবে কে?

মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে