যানবাহনে চলাচলে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটছে হিজড়াদের চাঁদাবাজির উপদ্রব। রেলযাত্রায় এই হিজড়াদের চাঁদা আদায়ের উপদ্রব বেশি দেখতে পাওয়া যায়। একজন ছাত্র যখন ট্রেনে কিংবা বাসে যাতায়াত করে তখন তার কাছে টাকা না থাকাটা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু টাকা না দিলে হেনস্তা করার ব্যাপারটা খুবই জঘন্য। আর তারা কেন এমন চাঁদাবাজি করবে। বর্তমান সরকার হিজড়াদের জন্য ভাতা দেওয়া থেকে শুরু করে নানারকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। এমতাবস্থায়ও এরূপ চাঁদাবাজি জনভোগান্তির কারণ। আজ ট্রেনে বাসায় ফেরার সময় টাঙ্গাইল স্টেশনে এসে কয়েকজন হিজড়া এসে আমার পাশের সিটের ছেলের কাছে টাকা চায়। ছেলেটির কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না বলে সে টাকা দিতে অসম্মতি জানায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- সেই ছেলেটি টাকা দিতে না চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই হিজড়াদের একজন তার শরীরের সব কাপড় খুলে ছেলেটির সঙ্গে চিলস্নাচিলিস্ন শুরু করে। এর চেয়ে নোংরামি আর কি হতে পারে। এখানে আরও একটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে, এ ঘটনাটি ট্রেনের মধ্যে টিটিইর সামনে ঘটে, কিন্তু তিনি কোনো কথা বলেননি বরং দ্রম্নত স্থান ত্যাগ করেছেন। এই ভাইয়ের মতো আরও ১০ জন দিনে বিভিন্ন জায়গায় হিজড়াদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায়, জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে হিজড়াদের চাঁদাবাজি নিরসন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. আব্দুল ওহাব
শিক্ষার্থী
আরবি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অবকাঠামোর উন্নয়ন চাই