সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটি

জনসম্পদে পরিণত করতে হবে
নতুনধারা
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইউএস সেনসাস বু্যরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য। সেনসাস বু্যরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ জন এবং বছরজুড়ে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নিয়েছে ৪ দশমিক ৩ জন শিশু এবং মারা গেছে ২ জন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও পূর্ববর্তী বছর ২০২২ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কম।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা। তার ১১ বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছিল জনসংখ্যা। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস সে সময় এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল। তবে জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১১ বছর সময় লাগলেও ৮০০ কোটি থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১৪ বছর সময় লাগবে বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তর।

উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্ন জন্মহার এবং তরুণ ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকাই এর সবচেয়ে বড় কারণ। করোনা মহামারি বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিতে বেশ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন মার্কিন সমাজবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই মহামারির প্রভাবে বৈশ্বিক গড় আয়ু ৭৫ বছর থেকে ৭১ বছরে নেমে গেছে।

বৈশ্বিক জনসংখ্যার হার যাই হোক না কেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। এই জনসংখ্যার মধ্যে পলস্নী অঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন। শহরের বাসিন্দা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও নারী ৫০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। মোট জনসংখ্যার মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে বসবাস করেন ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে বসবাস করেন ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৬১২ জন, রাজশাহীতে ২ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯ জন, রংপুরে ১ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৭১ জন, খুলনায় বাস করেন ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ২১৮ জন, ময়মনসিংহে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭২ জন, সিলেটে ১ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার ১১৩ জন এবং সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশালে বসবাস করেন ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৮২০ জন।

তবে এটা সত্য বিশ্বের অনেক দেশেই জন্মহার কমছে আবার অনেক দেশে বাড়ছে। গত বছর তৃতীয়বার দেশের জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপানের সরকার। প্রসঙ্গত, এশিয়ার হাতে গোনা যে কয়েকটি দেশ উন্নত দেশের শ্রেণিভুক্ত, তার মধ্যে সবার ওপরে আছে জাপান; কিন্তু দীর্ঘ তিন দশক ধরে দেশটিতে জন্মহার কেবলই হ্রাস পাচ্ছে।

এর মধ্যে গত বছর রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে জন্মহার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে ৮ লাখেরও কম সংখ্যক শিশু। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির এত নিম্ন হার আগে কখনো দেখেনি জাপান। অথচ বাংলাদেশ ও ভারতে জন্মহার অনেক বেশি। এ দুটি দেশে একদিকে যেমন জন্মহার বাড়ছে, তেমনি অপরদিকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, উন্নত পরিষেবা ও উন্নত চিকিৎসাসেবা তেমন দৃশ্যমান নয়। ভারতের জনসংখ্যা এখন চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। অধিক জনসংখ্যার দেশে খাদ্যাভাব রয়েছে। জাতিসংঘের এ ব্যাপারে তৎপর হওয়া জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে