শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
পাঠক মত

পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা

  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা

বৃক্ষ হলো প্রাকৃতিক বায়ু ফিল্টার যা কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য দূষণ শোষণ করে এবং বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ত্যাগ করে। গাছ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। বৃক্ষ ও প্রাণী একে অন্যের পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি কল্পনা করা যায় না। সৃষ্টির অপরূপ সৌন্দর্য লীলার মধ্যে বৃক্ষরাজি অন্যতম। গাছ আমাদের পরম বন্ধু পৃথিবী সূচনালগ্ন থেকে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে প্রাণিকুল ও বৃক্ষরাজির মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান চলছে। বৃক্ষ শুধু পরিবেশের বন্ধু নয়, পরিবেশের প্রাণও। পৃথিবীতে মানুষসহ সব প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। যেটা আমাদের সরবরাহ করছে বৃক্ষ, অন্যদিকে পরিবেশে প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে প্রকৃতিকে নির্মল বায়ু দান করে। গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান এ স্স্নোগানটি শুধু পাঠ্যবইয়ের কভার পৃষ্ঠা ও যানবাহনের পেছনে আমরা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করি। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ কতটুকু? সম্প্রতি আমরা সবাই লক্ষ্য করছি যে, প্রকৃতি কতটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে? আমাদের দেশে নানা অজুহাতে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। কখনো উন্নয়নের নামে, কখনো ব্যক্তিগত স্বার্থে। দেশে বন আইনের সফল প্রয়োগ না থাকায়, অসাধু চক্র প্রতিনিয়তই সুন্দরবন, মধুপুর ভাওয়াল, পার্বত্য এলাকারয় বনভূমি উজাড় করছে। ফলে জলবায়ু বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ক ধারা মোতাবেক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উলেস্নখ থাকলেও নেই তার কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। বৃক্ষ নিধনের তুলনায় বৃক্ষরোপণ যৎসামান্য, কাজেই জলবায়ু বিরূপ প্রভাব ফেলছে এতে জীববৈচিত্র্যের আবর্তন ব্যাহত হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিশ্ব বন আইনুযায়ী। মোট স্থলভাগের ২৫% বনভূমি থাকা অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ রয়েছে ১৫.৫৮%। গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে ১০-১৫% যার পেছনে জলবায়ুর প্রভাব রয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর জরিপ অনুযায়ী গত ছয় বছরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে এখানে প্রাণের অস্তিত্ব হুমকির টিকে থাকা মুখে পড়বে। সুতরাং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য, পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ এখন সময়ের দাবি।

মো. তুহিন হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে