শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আমরা শুধু কাগজে-কলমে দেখে এসেছি, তবে সেটার বাস্তবায়ন করে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বিশেষ করে অর্থ পাচার রোধ করাটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের আশ্রয়ে নেওয়া এবং সম্ভব হলে দেশের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণের নাভিশ্বাস অবস্থা। বিগত সরকারের আমলে সাধারণের জমদূত ছিল 'সিন্ডিকেট'! রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এসব সিন্ডিকেট গুঁড়িয়ে দেওয়ার এখনি মোক্ষম সময়। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে বাজার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
কে এম মাসুম বিলস্নাহ
  ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতায় লিখেছিলেন, 'বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, দেখিস একদিন আমরাও, বাবা আজ অন্ধ, অথচ আমাদের দেখা হয়নি কিছুই।' সত্যি বলতে যা স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, আমাদের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল দিনবদলের। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে হয়, 'কেউ কথা রাখেনি'। সত্যিই তো কেউ কথা রাখেনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের কথা আমরা সব সময় শুনে এসেছি সাবেক সরকারের পতনের মাত্র তিনদিনের মধ্যেই আমরা দেখলাম আমার দেশের টাকা যেভাবে পাচার হয়ে গেছে সেই টাকা দিয়ে আমরা সত্যিই দিন বদল করতে পারতাম তাহলে জিরো টলারেন্স নীতি কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল? দৃশ্যমান কিছু মেগা প্রজেক্ট হলেও সেগুলো কতটা স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকার এমন এক অবস্থায় পতন হয়েছে যখন কিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। অর্থাৎ অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিল তখন তাদের সামনে এসে দাঁড়াবে রিজার্ভ সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজনৈতিক প্রভাবে ধুকতে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা সামগ্রিক অর্থনীতির নানামুখী সংকটকে উতরে নেবার বড় চ্যালেঞ্জ! অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের হয়তো সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জই হবে ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো।

ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তবে বিগত সরকারের এই ষোল বছরে ব্যাংকিংসহ আর্থিক খাত যেন দিনে দিনে অস্থিতার অবস্থায় পতিত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিভিন্ন নেতিবাচক দিক নিয়ে অর্থনীতিবিদগণ সচেষ্ট থাকলেও বিগত সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এক রকম ধুঁকছে এসব প্রতিষ্ঠান। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-এর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে ১৫ বছরে অন্তত ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। চিত্রটি কিন্তু ভয়াবহ! এই লুটপাটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সচেতন মানুষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। আর এই লুটপাটের বড় কারণ প্রভাবশালী কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে পুরো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জিম্মি হয়ে যাওয়া। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের দুর্বল অবস্থার কারণও এই রাজনৈতিক বলয় থেকে বের হতে না পারা। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলো পূর্বে সাধারণের আস্থা অর্জন করলে ২০২২ সালে কেলেংকারির পর সেসব ব্যাংকগুলো আস্থা হারিয়েছে সাধারণের। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে এস আলম গ্রম্নপের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে গেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও নামে বেনামে বড় অংকের ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচারের ঘটনা তো আছেই। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপী হয়েছেন অনেকে, যার মধ্যে ছিলেন বিগত সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ ঘনিষ্ঠজনদের অনেকেই। যার প্রভাবে শক্ত অবস্থান থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অবস্থান হারিয়েছে! ২০০৮ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের তুলনা করলে দেখা যাবে খেলাপী ঋণ বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ! বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে ২০০৮ সালে খেলাপি ঋণ ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। সুতরাং অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এসব আর্থিক প্রতষ্ঠানে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, নন-পারফর্মিংকে লোন কমিয়ে আনা সর্বোপরি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবের করালগ্রাস থেকে মুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং শৃঙ্খলতা ফিরিয়ে আনা।

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সামনে আছে আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। টানা ষোল বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল ছিল স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব, পরমতসহিষ্ণুতার অভাব, বিরুদ্ধ মত দমনের চেষ্টা, যা বিরোধী দলসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে অনেকটা দূরত্ব তৈরি করে দিয়েছিল। এটি রাষ্ট্রের জন্য যেখানে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন সেখানে নিজেদের যোগসাজশে একটি পুতুল বিরোধী দল নিয়ে সংসদ পরিচালনা করা হয়ে আসছিল। সব থেকে বড় বিষয় দলীয় সরকারের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচন বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তো ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। এছাড়াও 'দিনের ভোট রাতে' হওয়ার অভিযোগ আছে। সুতরাং বলাই যায় যে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিতর্কিত করা হয়েছিল। উলেস্নখ্য, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ৩০ জুন ২০১১ জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়। এবং পরবর্তী তিনটি নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের ওপর তাই রাজনৈতিক দলগুলোর বড় চাওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজানো, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে নিয়ে আসা এবং সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনের একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। তবে তার আগে দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার। বিশেষ করে বিগত সরকার থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার, পরমতসহিষ্ণুতা এবং দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন নীতি অনুসরণের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি তৈরি করা- যা কিনা স্বপ্ন দেখাবে এক নতুন বাংলাদেশের। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এমনকি পুলিশবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত করা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভু্যত্থানের ফলে সরকার পতন হওয়ার পর ছাত্ররা গোটা দেশ সংস্কারের ডাক দিয়েছে। সেটাকে আমরা সবাই সাধুবাদ জানাই। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে নতুন সরকারকে ভাবতে হবে। বারবার শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে শিক্ষাখাতকে গিনিপিগ বানানো হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ আছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে। যেখানে মূল কারিকুলামের থেকে কো-কারিকুলামে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইজকে সংযুক্ত করে হয়েছে, এতে করে শহর গ্রাম কিংবা ধনী-গরিবের মধ্যে শিক্ষার বৈষম্য সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। গত একযুগ ধরে চলা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সৃজনশীল পদ্ধতি থাকলেও উচ্চশিক্ষা পদ্ধতি কিন্তু সেই পুরাতন রীতিতেই চলছে। এতে করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এক রকম শিক্ষা ব্যবস্থার পর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এসে গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ রকম অসংখ্য অসামঞ্জস্যতায় ভরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা! নতুন নতুন পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে সে অনুযায়ী শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই সবকিছু বিবেচনায় যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন সরকার কী ভাববে সেটাও দেখার বিষয়; বিশেষ করে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান যখন বিশ্ব বরেণ্য একজন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর মো ইউনূস! সুতরাং তার কাছে আশা-প্রত্যাশার যায়গাটা যে অনেক বেশি! শিক্ষা ব্যাবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতকেও ঢেলে সাজাতে হবে! স্বাস্থ্যখাতের সব দুর্নীতি রোধ করে এই খাতেরও সংস্কার দরকার।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আমরা শুধু কাগজে-কলমে দেখে এসেছি, তবে সেটার বাস্তবায়ন করে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বিশেষ করে অর্থ পাচার রোধ করাটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের আশ্রয়ে নেওয়া এবং সম্ভব হলে দেশের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণের নাভিশ্বাস অবস্থা। বিগত সরকারের আমলে সাধারণের জমদূত ছিল 'সিন্ডিকেট'! রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এসব সিন্ডিকেট গুঁড়িয়ে দেওয়ার এখনি মোক্ষম সময়। সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে বাজার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ তো থাকছেই। এছাড়া গত ১০ বছরে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হলেও নতুন কোনো পে-স্কেল দেওয়া হয়নি। এতে করে বেতন বৈষম্য তৈরি হয়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ সংকট তো অনেকদিন থেকেই মাথাব্যথার কারণ। করোনা মহামারীর মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ (৪৮ বি ডলার) উঠেছিল। তবে বর্তমানে রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। এস অ্যান্ড পি জানিয়েছে, আইএমএফের ফর্মুলায় পরিমাপ করা গ্রস রিজার্ভ ২০২৪ সালের জুন শেষে ছিল ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায় দ্রম্নত পদক্ষেপ নিতে হবে কারণ অদূর ভবিষ্যতে রিজার্ভের ওপর আরও চাপ বাড়বে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমতে পারে। বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গেলে রিজার্ভের ওপর চাপ আরও বাড়বে! সেক্ষেত্রে রিজার্ভকে অন্তত একটি আস্থাশীল যায়গাতে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ আছে। যেটা পরিস্থিতি বিবেচনায় সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ!

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারে আছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, সাবেক আমলা, শিক্ষার্থীদের একাংশসহ বিভিন্ন সেক্টরের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। সুতরাং আমরা আশা করতে পারি, দেশের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে যাদেরকে বেছে নেওয়া হয়েছে তারা তাদের মেধা মনন ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই সংকটগুলো সমাধান এবং সময়োপযোগী সংস্কার করতে পারবেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে তাদেরও মূল দাবি কিন্তু দেশের সংস্কার। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সব সরকারি অফিসগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে হবে। তবে সবকিছুর জন্য তারা কতটুকু সময় পাবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

কে এম মাসুম বিলস্নাহ :কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে