একজন মানুষের সার্বিক সুস্থতা মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত শারীরিক এবং দ্বিতীয়ত মানসিক। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি বা শরীরকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা সবাই সচেতন। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি থেকে শুরু করে জটিল সব রোগের ক্ষেত্রেই আমরা চিন্তিত হই এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করি। কিন্তু মানসিক রোগ নিয়ে আমরা কতজন সচেতন বা কতজন আমরা মানসিক রোগ সম্পর্কে জানি? শারীরিক রোগ সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকলেও মানসিক রোগ সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই বললেই চলে। আসলে মানসিক রোগ কাকে বলে, এটাই আমাদের অনেকের অজানা। মানসিক রোগ মূলত এক প্রকার অসুস্থতা, অক্ষমতা বা এমন একটি অবস্থা, যা ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজে উলেস্নখযোগ্য যন্ত্রণা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মন আমাদের শরীরের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। একটি খারাপ হলে এর প্রভাব অপরটির ওপর পড়ে। একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য তার শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা তার দৈনিন্দন কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি চাইলেই ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে তার মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার কিছু কৌশল হলো- সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করা, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, কর্মঠ জীবণযাপন, সামাজিক যোগাযোগ, মেডিটেশন বা মননশীলতা ইত্যাদি। একজন ব্যক্তির মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা, এটি আমাদের চিন্তাধারা, আবেগ, অনুভূতি, আচরণকে প্রভাবিত করে। মানসিক সুস্থতা একজন ব্যক্তির উৎপাদনশীলতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে উত্তম সহায়ক।
নাফিজ-উর-রহমান
শিক্ষার্থী
ঢাকা কলেজ