রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
পাঠক মত

শিক্ষক স্বল্পতা দূর হোক

  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শিক্ষক স্বল্পতা দূর হোক

বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষক স্বল্পতা একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে কলেজগুলোতে নিয়মিত পাঠদান দানে ব্যর্থ হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ চট্টগ্রাম কলেজ। শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করা কলেজটির বাংলা বিভাগ ও একটি ঐতিহ্যপূর্ণ বিভাগ। ড. মুহাম্মদ আব্দুল হাই, ডক্টর হুমায়ূন আজাদ, ফোকলোর বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, অধ্যাপক মনিরুজ্জামানদের মতো বহু কৃতী শিক্ষকের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমদ কবীর, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক, অধ্যাপক ডক্টর আবুল কাসেমসহ বহু কৃতী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। এই ঐতিহ্যপূর্ণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত বিভাগটিতে বর্তমানে পদচারণা কমে যাচ্ছে। বিভাগটিতে অনার্স, মাস্টার্সসহ অধ্যয়ন করছে শত শত শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিভাগটিতে রয়েছে মাত্র ছয়জন শিক্ষক। এই ছয়জনকেই অনার্স এবং মাস্টার্সের সঙ্গে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস নিতে হচ্ছে। ফলে, তারা নিয়মিত সব বর্ষের ক্লাস দিতে পারছেন না। এর কারণ শিক্ষক স্বল্পতা। যার ফলে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলেজে আসা এবং ক্লাস করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। শুধু চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগ নয় াংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রায় কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে যা চোখে পড়ার মতো। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাদিয়া সুলতানা

শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ

বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ

প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা হোক

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। যিনি নিয়মিত ধূমপান করেন তিনিও এটি বোঝেন। কিন্তু বদভ্যাসের কারণে এটা ছাড়তে পারে না। এটি পরিত্যাগ করার জন্য মনের ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। তারপরও যারা ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারছে না তারা যাতে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে আইন আছে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা ও সামাজিকভাবে সচেতনতা তৈরি করা গেলে প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে ধূমপায়ীদের বিরত করা সম্ভব। ধূমপান বন্ধে ২০০৫ সালে প্রণিত আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ধরা হয়েছিল ৫০ টাকা। কিন্তু পরে ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী এনে জনসমাগমস্থলে ধূমপানের শাস্তির অর্থ ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। কিন্তু আইন না জানা ও ভাঙায় অভ্যস্ত লোকজনের অবস্থা তাতে বদলায়নি এতটুকু। প্রকাশ্যে ধূমপান পরিহার করার জন্য প্রচার প্রচারণাসহ বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি। এতদবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি।

মোহাম্মদ বদিউর রহমান

বন্দর, চট্টগ্রাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে