সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

গণতন্ত্রে উত্তরণে প্রয়োজন প্রশাসনিক ন্যায়পরায়ণতা

প্রশাসক বা আমলারা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হলে, জনগণও সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হয়। জনগণ সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হলে শাসকও সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হয়। অতএব, প্রশাসকের সততা ও ন্যায়পরায়ণতাই সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও জনকল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক প্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রশাসন ও রাষ্ট্রে ন্যায়পরায়ণতার অনুশীলন হলে সেখান থেকে সব ধরনের অন্যায়, অপরাধ, বৈষম্য, দুরাচারিতা ও অবিচার সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।
অমল বড়ুয়া
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গণতন্ত্রে উত্তরণে প্রয়োজন প্রশাসনিক ন্যায়পরায়ণতা
গণতন্ত্রে উত্তরণে প্রয়োজন প্রশাসনিক ন্যায়পরায়ণতা

প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থাতে আমলাতন্ত্রের উপস্থিতির অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দক্ষিণ মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের সুমেরীয় সভ্যতাতেও এক ধরনের আমলাতন্ত্রের উপস্থিতির নজির পাওয়া গেছে। প্রাচীন মিসরীয়, চীন ও রোমান সভ্যতাতেও আমলাতন্ত্র প্রচলিত ছিল। অনেকে বলেন যে, প্রাচীন গ্রিসের নগরাষ্ট্র ও প্রাচীন রোমের 'ট্রাম ভাইরেক্ট' পদ্ধতির মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের গোড়াপত্তন হয়েছে। সেই থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দি থেকে সামন্ততন্ত্রের শেষকাল পর্যন্ত আমলাতন্ত্রের ক্রমপরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তবে, যে সময়ে গ্রিস বা রোমে গণতন্ত্র ও নাগরিকসেবা প্রদানকারী প্রশাসন বা আমলাতন্ত্রের বিকাশ ঘটে সেই সময়ের কিছুকাল পূর্ব থেকেই ভারতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও নগরকেন্দ্রিক জনকল্যাণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা বা আমলাতন্ত্রের বিকাশ ঘটে- যার প্রমাণ হিসেবে প্রাচীন ভারতীয় ধর্মীয় গ্রন্থসমূহের মধ্যে 'মহাপরিনিব্বান সূত্র', জাতক, পাণিণি ব্যাকরণ, জৈনশাস্ত্র অন্যতম। বৌদ্ধ পালি গ্রন্থ মহাপরিনিব্বান সূত্র'র প্রথম অধ্যায়ে বৈশালীতে শাসনকর্তা ও সম্প্রদায়গণের 'সপ্ত অপরিহানীয় ধর্ম' মেনে রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবর্গ ও চুলস্নবর্গ গ্রন্থেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংঘ পরিচালনা ও সুদৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থার উলেস্নখ পাওয়া যায়- যা বুদ্ধের সময়কালীন খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৪০০ শতাব্দী হতে চলে আসছে। একইভাবে প্রাচীন বৌদ্ধসাহিত্য জাতককাহিনীতেও দশরাজা ধর্মের বিবরণসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা আমলাতন্ত্রের সুবিশদ বর্ণনা রয়েছে- যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, গ্রিস বা রোমের প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের আগে থেকেই ভারত উপমহাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও জনকল্যাণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

খ্রিষ্টপূর্ব ২৩৮ অব্দে বিশ্বে সর্বপ্রথম সম্রাট অশোক পিতৃতান্ত্রিক প্রশাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন আর তার হাত ধরেই পৃথিবীতে প্রথম জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটে। তাই বলা যায়, প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধযুগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকাশ লাভ করে। ম্যাকিয়াভেলি'র দুই হাজার বছর পূর্বে চাণক্য বা কৌটিল্য তার রচিত অর্থশাস্ত্রে সরকার ও প্রশাসনের পদ্ধতি, রাজার কর্তব্য, মন্ত্রী ও আমলাদের কথা, এমনকি কূটনীতির পদ্ধতিসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। আদিকাল থেকে শাসনকাজে শাসককে সহায়তার জন্য সামরিক বাহিনী ছাড়াও বেসামরিক কর্মচারী নিয়োগ করা হতো। তবে তখন সেসব কর্মচারী নিযুক্ত হতো সম্পূর্ণ শাসকের ইচ্ছায়। কখনো বা বংশানুক্রমে। সেসব নিয়োগে যোগ্যতার পাশাপাশি উঁচু পদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই আভিজাত্য অপরিহার্য ছিল। তবে খ্রিষ্টপূর্ব ২২১-২০৭ অব্দ সময়কালে প্রাচীন চীনে মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসনের সূচনা- যার ধারাবাহিকতা ৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে সঙ সাম্রাজ্যের শাসন অবধি পুরোদমে বলবৎ ছিল। আধুনিক জাতি রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিকাশের সময় থেকে বিশেষত অষ্টাদশ শতাব্দি থেকে বর্তমানে আমরা যে অর্থে আমলাতন্ত্র বুঝে থাকি তার বিকাশ শুরু হয়। উনিশ শতাব্দি নাগাদ ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্র পরিচালনায় আমলাতন্ত্র বড় ভূমিকা নিতে শুরু করে।

আমলাতন্ত্র বস্তুত আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের স্থায়ী বা অরাজনৈতিক অংশই আমলাতন্ত্র বা সিভিল সার্ভিস নামে পরিচিতি। গণতন্ত্রে নীতি নির্ধারণ করেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সেই নীতি বাস্তবায়ন করেন আমলারা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রিসভার নিচে শাসন বিভাগের যে সব স্থায়ী কর্মচারী থাকেন তাদের আমলা বলা হয়।

ল্যাটিন শব্দ 'মিনিস্ট্রেট' থেকে উদ্ভূত হয়েছে প্রশাসন শব্দটি। যার অর্থ সেবা করা। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত প্রশাসন শব্দটি এসেছে ইংরেজি ভাষার 'এডমিনিস্ট্রেশন' শব্দ হতে। যার অর্থ আদেশ করা বা হুকুম চাপিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ দমন করার অপর নাম প্রশাসন। ঔপনিবেশিক আমলে রূঢ় ও কঠোর হাতে দমন করার সাফল্যই ছিল প্রশাসন। আজও আমরা সেই সীমাবদ্ধতা পরিপূর্ণভাবে অতিক্রম করতে পারিনি। কারণ আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক নৈয়ায়িক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সমাজ বিনির্মাণে নৈতিকতা ও শিষ্টাচার একটি অপরিহার্য বিষয়। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রথম ধাপ হিসেবে নৈতিকতা ও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণকে চিহ্নিত করা যায়। নৈতিকতার সাধারণ অর্থ সততা বা ন্যায়পরায়ণতা। অর্থাৎ সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাবোধ-এর সমন্বিত গুণটির নাম হচ্ছে নৈতিকতা। প্রশাসক বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সততা, ন্যায়পরায়ণতা, মানবিক মূল্যবোধ, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি তার কর্তব্যবোধ ইত্যাদি নৈতিকতার অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রতিটি মানুষেরই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই নৈতিকতা। দায়িত্ববোধ ও মমত্ববোধ থেকে সৃষ্ট এ মানবিক গুণটি ছাড়া সভ্যতার বিকাশ সম্ভবপর নয়।

জার্মানির ব্যার্টেলমান ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে দুর্বল প্রশাসন ও গণতন্ত্রের সংকট দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাজার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেওয়া বৈষম্য ও নিপীড়নমূলক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যে কর্মকর্তা বা কর্মচারী মানুষের প্রয়োজন বা কষ্টকে পণ্য করে বাণিজ্য করেন অর্থাৎ আর্থিক সুবিধা আদায় করেন তিনি নৈতিকতা থেকে কেবল বিচু্যতই নন বরং নৈতিকতা থেকে শত সহস্র যোজন দূরে তার অবস্থান। রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আইন মেনে চলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা নৈতিক দায়িত্ব। প্রশাসন পরিচালনার জন্য আইন-কানুন, বিধি-বিধান থাকা সত্ত্বেও নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আর আইনসম্মত বিধিবিধান প্রশাসনিক নৈতিকতার সীমা নির্দেশ করে দেয়। একজন কর্মকর্তার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে তার নৈতিকতা ও শিষ্টাচারের ওপর। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় অসমতা ও অন্যায় চরম বাধা। তাই সর্বপ্রথম মানুষকে ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। যারা প্রকৃত প্রশাসক বা নেতা তারা আত্মসুখ ও আত্মপরতায় নিমজ্জিত হন না। তিনি নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে জনকল্যাণে কাজ করেন। তিনি মানুষের কল্যাণকে ব্রত করে জীবন অতিবাহিত করেন এবং সব কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। স্কাইলাস বলেন, 'কথা ও কাজে সততাই চরিত্রের মেরুদন্ড।' চরিত্র মানুষের বড় সম্পদ। আমেরিকার ধর্মপ্রচারক বিলি গ্রাহামের বিখ্যাতি উক্তিটি হচ্ছে 'ডযবহ বিধষঃয রং ষড়ংঃ, হড়ঃযরহম রং ষড়ংঃ; যিবহ যবধষঃয রং ষড়ংঃ, ংড়সবঃযরহম রং ষড়ংঃ; যিবহ পযধৎধপঃবৎ রং ষড়ংঃ, ধষষ রং ষড়ংঃ.' চরিত্র হারালে সর্বস্ব হারায়।

যারা প্রশাসক তাদের জনকল্যাণে সর্বান্তকরণে নিয়োজিত থেকে সততা, উদারতা ও মানবিকতার পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করতে হবে। কারণ, প্রশাসক বা আমলা যদি আত্মসুখ ও আত্মপরতায় অভিরমিত হয় তাহলে সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসন অন্ধকার বিদিশায় নিমজ্জিত হয়ে যাবে। বৈষম্য, হিংসা, দুর্নীতি, অবিচার ও অমানবিকতা দৌর্দন্ড প্রতাপে সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনযন্ত্রকে গ্রাস করে নেবে। একজন সৎ আমলা নির্বিবাদী হয়ে সমাজে অবস্থান করেন এবং সমাজের নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ, প্রথা ও ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্বাসী ও শ্রদ্ধাশীল থেকে পারস্পরিক হিত-সুখ-কল্যাণে প্রয়াসী হন; আর সমাজে সাম্য, মৈত্রী, নৈতিকতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ডেমোক্রিটাস বলেন 'শরীর ও অধিকার দ্বারা মানুষ শান্তি খুঁজে পায় না, বরং সততা ও জ্ঞানের মাধ্যমেই শান্তি পাওয়া যায়।' তাই সততা, নিষ্ঠা ও নিবেদিত প্রাণ হয়ে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। সৎ, নিষ্ঠাবান, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত প্রশাসকই জনসেবা ও জনকল্যাণের গুরুকর্মকে বহু জনের হিত-সুখ-মঙ্গলের নিমিত্তে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। তাই প্রশাসক বা আমলা হবেন সৎ, সত্য, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার পরাকাষ্ঠ। কথায় বলে, 'সত্যের আকড়ে বাঁধা এ পৃথিবী। সত্যং শিবং সুন্দরম অর্থাৎ সত্যই বিধাতা এবং সত্যই সুন্দর। সত্য বা সততার শক্তি মানুষকে নির্লোভ ও ত্যাগী জীবনের দিকে ধাবিত করে।

নৈয়ায়িকতা বা ন্যায়পরায়ণতা মানে হলো আন্তরিকতা, সততা, নৈতিকতা, অপক্ষপাত। নৈয়ায়িকতা হলো মিথ্যা, অসততা, বৈষম্য, অনাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। নৈয়ায়িকতা সততার উপরের পর্যায়। ন্যায়পরায়ণতা মানব চরিত্রের এক বিশেষ গুণ। এই মানবিক গুণ ব্যতিত কেউ প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতকরণেও এই সদগুণ অত্যাবশ্যক। ন্যায়পরায়ণতার গুণে যারা গুণান্বিত তারা চিত্তে শান্তি ও সুখ অনুভব করেন। এই গুণে বিভূষিত ব্যক্তি সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা ও সব ধরনের বৈষম্য, অনাচার এবং অপরাধ বিমোচনে উদ্যোগী হন। তিনি সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রশাসক বা আমলারা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হলে, জনগণও সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হয়। জনগণ সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হলে শাসকও সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হয়। অতএব, প্রশাসকের সততা ও ন্যায়পরায়ণতাই সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও জনকল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক প্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রশাসন ও রাষ্ট্রে ন্যায়পরায়ণতার অনুশীলন হলে সেখান থেকে সব ধরনের অন্যায়, অপরাধ, বৈষম্য, দুরাচারিতা ও অবিচার সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত হয়। এই ন্যায়পরায়ণতা গুণ থাকলে মানুষ কখনো অন্যায় অপরাধ করতে পারে না। ন্যায়পরায়ণতা মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের দৃঢ় সেতুবন্ধন রচনা করে সব ভেদাভেদ, বিশৃঙ্খলা আর বৈষম্যের পরিসমাপ্তি ঘটায়। তাই বৈষম্যহীন জনকল্যাণমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উত্তরণে প্রশাসনিক নৈয়ায়িকতা অত্যাবশ্যক।

অমল বড়ুয়া : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে