আজ তোমাদের জন্য প্রশ্নোত্তর
নিয়ে আলোচনা করা হলো
প্রশ্ন :বর্ষাকালে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর :বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশের ওপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই বাংলাদেশে তখন বেশ গরম থাকে বলে বায়ুচাপ কম থাকে। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে তখন সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দেয়। তাই সে অঞ্চল গরম হয় বলে বায়ুচাপ বেশি থাকে। ফলে তখন বায়ু বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ দিক থেকে এ বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে। এ জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে বৃষ্টি হয়। এজন্য বর্ষাকালে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন :কালবৈশাখী ঝড় কেন হয়, তা ৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :সাধারণত চৈত্রের শেষে এবং বৈশাখে সূর্য বাংলাদেশ ও তার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের ওপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে এ অঞ্চলের বায়ু সকাল থেকে দুপুরের রোদের তাপে হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। এভাবে বিকালের দিকে এ অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় আমাদের দেশের উত্তরে ও হিমালয়ের দিকে বায়ুর চাপ বেশি থাকে। তাই উচ্চচাপের উত্তরাঞ্চল থেকে বায়ু প্রবল বেগে দক্ষিণ দিকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হওয়ার ফলে যে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি হয় তা আমাদের দেশে কালবৈশাখী নামে পরিচিত।
প্রশ্ন :সূর্যতাপকে আবহাওয়ার নিয়ামক বলা হয় কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর :সূর্যতাপের কারণে দ্রম্নত আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে; যেমন- সকালে গরম কম লাগা, কিন্তু দুপুর বেলা বেশি গরম লাগা প্রভৃতি সূর্যতাপের কারণে হয়। সকালে সূর্যকিরণকে বায়ুমন্ডলের অনেক স্তরের ভেতর দিয়ে তির্যকভাবে আসতে হয় বলে সূর্যের তাপ বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দুপুরে সূর্য আমাদের মাথার ওপর থেকে খাড়াভাবে কিরণ দেয় বলে দুপুরে সূর্যের তাপ বায়ুর কম স্তর ভেদ করে আসে এবং তা অনেক গরম লাগে। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের গরম লাগা ও ঠান্ডা লাগার মূলে রয়েছে সূর্যের তাপ। অতএব, সূর্যতাপকে আবহাওয়ার নিয়ামক বলা যায়।