নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ন্ধ, জ্ব, ক্ষ, ট্ট, প্র।
উত্তর :
ন্ধ = ন + ধ -সন্ধ্যা - সন্ধ্যায় পড়তে বসব।
জ্ব = জ + ব ফলা - জ্বর - খোকার জ্বর কমেছে।
ক্ষ = ক + ষ- ক্ষমা - ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ।
ট্ট = ট + ট - হট্টগোল - শ্রেণিকক্ষে হট্টগোল করব না।
প্র = প + র-ফলা ( ্র ) - প্রতি - তোমার প্রতি আমার অনুরোধ রইল।
নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
জাগিয়া, জ্বলিতেছে, বলিবে, রহিয়াছি, শুনিবে।
উত্তর :
ক্রিয়াপদ - চলিত রূপ
জাগিয়া - জেগে
জ্বলিতেছে - জ্বলছে
বলিবে - বলবে
রহিয়াছি - রয়েছি
শুনিবে - শুনবে
নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
উপর, জেগে, উত্তর, কাঁদা, জানা।
উত্তর :
মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
উপর - নিচ
জেগে - ঘুমিয়ে
উত্তর - দক্ষিণ
কাঁদা - হাসা
জানা - অজানা
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!
আমি ডাকি,- তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) পুতুলের বিয়ের সময় খুকুর দিদির কথা মনে পড়ে কেন?
উত্তর :
ক) কবিতার চরণগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলো-
আমি ডাকি,- তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
আমিও নাই দিদিও নাই কেমন মজা হবে!
খ) কবিতাংশটি 'কাজলা দিদি' কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
ঘ) কাজলা দিদি ছিল ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি। আগামীকাল তার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে। এ সময় তার কাজলা দিদি তার পাশে নেই, এটি ভেবে সে কষ্ট পাচ্ছে। দিদিকে ছাড়া পুতুলের বিয়ে হতে পারে, এ কথা বোনটি ভাবতেই পারে না। তাই পুতুলের বিয়ের সময় তার কাজলা দিদির কথা মনে পড়ে।
আবোল-তাবোল
প্রশ্ন উত্তর
আবোল-তাবোল কথা বলার মানে, মনের খেয়ালে কথা বলতে থাকা। আমরা কথা বলি যাতে অন্যে সে কথা শোনে এবং শুনে কিছু একটা করে। যেমন- যদি বলি মা, ভাত খাব। মা তখন আমায় ভাত দিতে ছুটবেন! কিন্তু যদি ভূতের মতো নাকি সুরে বলি 'আঁউ মাঁউ খাঁউ ভাঁতের গন্ধ পাউ' তখন মা ভাববেন, আমি খেলা করছি। সেটা তখন আবোল-তাবোল কথা হয়ে গেল, যে কথার অর্থ নেই, যে কথা দিয়ে কিছু বোঝাতে চাইছি না।
এটি সে রকমই একটি ছড়া যা জোরে জোরে পড়লেই শুনতে মজা লাগে। একটা লোক মনের আনন্দে কেবলই বকবক করে কথা বলে চলেছে, ইচ্ছে হলে গানও গাইছে। যতক্ষণ না দু'চোখে ঘুম নামল ততক্ষণ সে এমনটাই করে গেল।
শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি।
ঠেকায়, তবলা, ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ, প্যাঁচ, ঘুম,
ঘনিয়ে এলো, মনের মাঝে, সাঙ্গ, রাম-খটাখট
শব্দ অর্থ
ঠেকায় বাধা দেয়, মানা করে।
তবলা এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র।
ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ এক কোপে কিছু কেটে
ফেলার আওয়াজ।
প্যাঁচ মোচড়, মোড়ানো।
ঘুম তন্দ্রা, নিদ্রা।
ঘনিয়ে এলো ঘন হয়ে এলো, জড়ো হলো।
মনের মাঝে মনের ভিতরে।
সাঙ্গ শেষ, সমাপ্ত।
রাম-খটাখট খুব জোরেশোরে খটাখট শব্দ। (এই শব্দে আমরা বড় আকারের কিছু বোঝাই। যেমন- রামছাগল, রামবোকা, হাঁদারাম)।
নিচের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ঘনিয়ে এলো সাঙ্গ ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ ঠেকায় মনের মাঝে প্যাঁচ
ক. তুহিন লেখাপড়ায় এতো ভালো যে ওকে কে?
খ. লোকটি করে গাছের ডালটি কেটে ফেলল।
গ. বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম।
ঘ. দেওয়া কথা বোঝা যায় না।
ঙ. তাড়াতাড়ি খেলাধুলা কর, পড়তে বসতে হবে।
চ. পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় তার আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।
উত্তর :
ক. তুহিন লেখাপড়ায় এতো ভালো যে ওকে ঠেকায় কে?
খ. লোকটি ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ করে গাছের ডালটি কেটে ফেলল।
গ. বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম ঘনিয়ে এলো।
ঘ. প্যাঁচ দেওয়া কথা বোঝা যায় না।
ঙ. তাড়াতাড়ি খেলাধুলা সাঙ্গ কর, পড়তে বসতে হবে।
চ. পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় তার মনের মাঝে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।
প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি।
ক) কী ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না?
উত্তর :আবোল-তাবোল কথার তুবড়ি ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না।
খ) ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে কোথায় তবলা বাজছে?
উত্তর : মনের মাঝে ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে তবলা বাজছে।
গ) কখন গানের পালা সাঙ্গ হলো?
উত্তর :ঘুম ঘনিয়ে এলে গানের পালা সাঙ্গ হলো।
ছড়াটিতে যা বলা হয়েছে তা বর্ণনা করি।
উত্তর :একজন লোক মনের আনন্দে নানা অর্থহীন কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছে। তাকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। ঘুম আসার আগ পর্যন্ত সে এমন আবোল-তাবোল কথা বলেই গেল।
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
মন, প্যাঁচ, সাঙ্গ, গান।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
মন - বাবলু মন খারাপ করেছে।
প্যাঁচ - দড়িটার প্যাঁচ খোলা যাচ্ছে না।
সাঙ্গ - স্যার এসে পড়ায় দুষ্টুমির পালা সাঙ্গ হলো।
গান - কোকিল মিষ্টি সুরে গান করে।
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়