রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
বিজ্ঞান

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রশ্ন : আমরা কীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?

উত্তর : আমরা যেভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি তা হলো-

(ক) বিদু্যৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারি।

(খ) কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে রেখে বিদু্যৎ অপচয় রোধ করতে পারি।

(গ) গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।

ঘ) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনর্ব্যবহার করে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।

(ঙ) ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে এবং গাছ লাগিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।

পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

প্রশ্ন : আমরা কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করতে পারি?

উত্তর : শব্দদূষণ রোধে আমাদের করণীয়-

(ক) উচ্চৈঃস্বরে গান বাজানো যাবে না।

(খ) বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো।

(গ) মাইক বা লাউড স্পিকার না বাজানো।

(ঘ) হাসপাতাল বা বিদ্যালয়ের পাশে উচ্চশব্দে কোনো কিছু না বাজানো।

(ঙ) জেনারেটরের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করা।

প্রশ্ন : পরিবেশ সংরক্ষণের ৪টি উপায় লেখো।

উত্তর : পরিবেশ সংরক্ষণের ৪টি উপায় হলো-

(ক) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো।

(খ) গাড়ির ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা, গাড়ি কম ব্যবহার করে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করা।

(গ) কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি পরিশোধন করে বাইরে ফেলা।

(ঘ) ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা।

প্রশ্ন : শব্দদূষণের একটি কারণ লেখো। হঠাৎ উচ্চশব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব লেখো। শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুটি উপায় লেখো।

উত্তর : শব্দদূষণের একটি কারণ গাড়ির হর্ন। হঠাৎ উচ্চশব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব হলো :

র. শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি যেমন- শ্রবণশক্তি হ্রাস, কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি;

রর. মানসিক সমস্যা সৃষ্টি যেমন- ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি।

শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুটি উপায় হলো-

র. উচ্চশব্দ সৃষ্টি না করে (যেমন : উচ্চৈঃস্বরে গান, লাউড স্পিকার, মাইক ইত্যাদি না বাজিয়ে) শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

রর. উচ্চৈঃস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজিয়ে শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পেতে পারি।

প্রশ্ন : মাহফুজদের স্কুলের কাছে হাইওয়ে রাস্তার পাশে কয়েকটি দোকানে সারাদিন উচ্চৈঃস্বরে মাইক বাজায়, এতে কোন ধরনের দূষণ ঘটে? এ দূষণ রোধে মাহফুজ ও তার বন্ধুরা মিলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে?

উত্তর : উচ্চৈঃস্বরে মাইক বাজানোর ফলে শব্দদূষণ ঘটে।

মাহফুজ ও তার বন্ধুরা মিলে শব্দদূষণ রোধে যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে, তা নিচে উলেস্নখ করা হলো-

১. উচ্চশব্দে মাইক বাজানো বন্ধ করতে অনুরোধ করতে পারে।

২. নিজে উচ্চশব্দে সিডি পেস্নয়ার, টিভি না বাজিয়ে এবং অন্যকেও না বাজাতে উৎসাহিত করতে পারে।

৩. গাড়ির হর্ন যাতে বিনা প্রয়োজনে না বাজানো হয় তার জন্য পোস্টার লিখতে পারে।

৪. নিজে উচ্চৈঃস্বরে গোলমাল না করে, বন্ধু ও পাড়া-প্রতিবেশীদের এসব থেকে বিরত থাকতে বলতে পারে।

প্রশ্ন : তোমার মতে কী কী কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে?

উত্তর : বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া, দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত হয়। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। গাছপালা ও ময়লা-আবর্জনা পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার মাধ্যমেও বায়ু দূষিত হয়। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগের ফলে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর এভাবেই বায়ু দূষিত হয়। বৃক্ষনিধন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এটাও বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ।

প্রশ্ন : কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদির ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। উক্ত পদার্থগুলোর ব্যবহার পরিবেশে কোন ধরনের দূষণ ঘটাচ্ছে? এই দূষণ প্রতিরোধে চারটি উপায় লেখো।

উত্তর : কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, রাসায়নিক পদার্থ ও তেল মাটি দূষণ ঘটাচ্ছে। মাটি দূষণ প্রতিরোধে চারটি উপায় নিচে উলেস্নখ করা হলো :

১. কলকারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ যেন মাটিতে মিশে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বর্জ্য পদার্থকে পরিশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. বাড়িঘরের আবর্জনা, বর্জ্য ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় গর্ত করে পুঁতে রাখতে হবে।

৩. পস্নাস্টিক, পলিথিন, কাচ এবং ধাতব জিনিস যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। এদের পুনরায় প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে মাটি দূষণ অনেক কমে যাবে।

৪. কৃষি কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈবসার ও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

প্রশ্ন : প্রকৃতিতে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের স্থিতিশীলতা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থিতিশীলতা রক্ষায় কোনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে? প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় তার চারটি ভূমিকা উলেস্নখ করো।

উত্তর : প্রকৃতিতে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গাছপালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গাছপালার চারটি ভূমিকা হলো :

১. গাছপালা বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ছাড়ে এবং বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। এতে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষা পায়।

২. গাছপালা শিকড়ের সাহায্যে মাটিকে আটকে রেখে ভূমিক্ষয় রোধে সহায়তা করে।

৩. ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙন, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে গাছপালা জনপদকে রক্ষা করে।

৪. গাছপালা আবহাওয়ার চরমভাব দূর করে।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে