আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন জুলাই গনঅভ্যুত্থানের আহতরা। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা শনিবার (১০ মে) রাত ৪টায় চলে যাওয়ার পর একই মঞ্চে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ সময় তারা জুলাই সনদ ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত শাহবাগে থাকার ঘোষণা দেন। শাহবাগের চারটি প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে দিয়েছেন তারা।
রোববার (১১ মে) সকালে দেখা যায়, বাংলামোটর থেকে শাহবাগের দিকে যাওয়ার পথে কোনো বাস যাচ্ছে না। সীমিত সংখ্যক ব্যক্তিগত যান ও রিকশা চলাচল করছে। শাহবাগের মোড়ের চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে ব্লক করা। বারডেম হাসপাতালের সামনে দিয়ে কিছু যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
আন্দোলনের আহত অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলন করলেও ‘জুলাই সনদ’কে হারিয়ে যেতে দিতে চান না। আহতদের দাবি, তাদের জীবন থাকতেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্বাসন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়, আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বার্তা, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
তাদের দাবি, রাজপথে অবস্থানকালেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসা জরুরি বলেও তারা জানান। দাবি তোলা হয়, আহতদের আজীবন চিকিৎসার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যাযাদি/ এসএম