শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বিজ্ঞান

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রশ্ন : সুষম খাদ্যে কয়টি উপাদান থাকে? যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের পরিমিত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন কেন একটি বাক্যে লেখ। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে তুমি কী করবে তা তিনটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : সুষম খাদ্যে ৬টি উপাদান থাকে। যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের দেহকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখতে, দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণে এবং দেহে তাপ শক্তি জোগাতে পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে আমি নিচে উলিস্নখিত কাজ তিনটি করব:

(র) অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করব।

(রর) অতিরিক্ত খাবার খেলে দেহ ভারী হয়ে যায় সে সম্পর্কে সবাইকে জানাব।

(ররর) অতিরিক্ত খাবার খেলে শিশুরা খেলাধুলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে সে সম্পর্কে সবাইকে জানাব।

সপ্তম অধ্যায়

প্রশ্ন : ব্যবসায়ীরা কেন খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান, তা একটি বাক্যে লেখ। নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে যেসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে দুটির নাম লেখ। কাউকে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে তাকে দেওয়া দুটি পরামর্শ লেখ।

উত্তর : ফল পাকানোর জন্য ব্যবসায়ীরা ফলমূলে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান।

নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে ক্যানসার ও বৃক্ক অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে দুটি পরামর্শ হলো :

(র) খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর অপকারিতা সম্পর্কে জানানো।

(রর) এটি যে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও এর কারণে জেল-জরিমানা হতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন করা।

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগ কীভাবে বিস্তার লাভ করে?

উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।

সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন- হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস, যেমন- গস্নাস, পেস্নট, চেয়ার, টেবিল, জামা-কাপড়, টয়লেট ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে। মশা, পোকা-মাকড় বা কুকুরের মতো প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে। এ ছাড়া দূষিত খাদ্য গ্রহণ ও দূষিত পানি পানের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগ-প্রতিরোধে তোমার করণীয় কী?

উত্তর : এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো একজন থেকে অন্যজনে ছড়ায়, এগুলোকে সংক্রামক রোগ বলে।

সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে করণীয় হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, দাঁত মাজা, হাত-পায়ের নখ কাটা। ব্যবহার্য জামা-কাপড়, বালিশ, বিছানা, চাদর ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা উচিত। এ ছাড়া যেখানে-সেখানে কফ, থুতু ইত্যাদি ফেলা যাবে না। কাশি বা হাঁচি হলে মুখে রুমাল বা হাত দিয়ে ঢাকতে হবে।

প্রশ্ন : কীভাবে সংক্রামক রোগ-প্রতিরোধ করা যায় তার ৫টি উপায় লেখো।

উত্তর : সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করার ৫টি উপায় হলো :

১. সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

২. নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখা।

৩. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

৪. হাঁচি-কাশির সময় টিসু্য, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।

৫. সময়মতো প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ-প্রতিকারের উপায়গুলো কী?

উত্তর : সংক্রামক রোগ-প্রতিকারের উপায় হলো-

১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া,

২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া,

৩. প্রচুর পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করা ও

\হ৪. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা।

প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কীভাবে ছড়ায় তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন- ১. কিছু কিছু রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনে সংক্রমিত হয়। যেমন- সোয়াইন ফ্লু, হাম।

২. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- ফ্লু, ইবোলা।

৩. মশার মতো পোকা-মাকড় বা কুকুরের মতো প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। যেমন- ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক। দূষিত খাদ্য ও পানি গ্রহণও সংক্রামক রোগ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা।

প্রশ্ন : পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য কোথায়?

উত্তর : পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য নিম্নরূপ :

র. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগের বাহক প্রয়োজন।

রর. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই সংক্রামক রোগ।

ররর. পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয় রোগই জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়।

পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগের বৈসাদৃশ্য নিম্নরূপ :

র. বায়ুবাহিত রোগ হলো সেসব রোগ যা হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর পানিবাহিত রোগ হলো সেসব রোগ যা জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।

রর. বায়ুবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে সোয়াইন ফ্লু, হাম, গুটিবসন্ত, যক্ষ্ণা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি আর পানিবাহিত রোগের মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড।

পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে