বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রশ্ন : নদীভাঙন কী? নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন? নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ লেখ।

উত্তর : নদীভাঙন হচ্ছে স্রোতের কারণে নদীর পাড় ভেঙে স্থলভাগ বিলীন হয়ে যাওয়া। মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক কারণে অনেক সময় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীভাঙনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ হলো-

১. নদী থেকে অধিক বালি উত্তোলন।

২. নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।

৩. অপরিকল্পিত নদীশাসন।

৪. নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা।

প্রশ্ন : খরা কী? খরা হয় কেন? খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।

উত্তর : দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্ট হয়, তাকে খরা বলে। দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং অল্পসংখ্যক নদীর কারণে খরা হয়।

খরার চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে-

১. পুকুর, নদী, খাল ও বিল শুকিয়ে যায়।

২. মাঠে ফসল ফলাতে কষ্ট হয়।

৩. গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

৪. খাবার পানির অভাব দেখা দেয়।

মানবাধিকার

প্রশ্ন : মানবাধিকার কী? মানবাধিকার রক্ষা করার প্রয়োজন কেন? মানবাধিকার রক্ষার চারটি উপায় লেখ।

উত্তর : সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসব অধিকার প্রয়োজন, তাই মানবাধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের সব দেশের সব মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য মানবাধিকার প্রয়োজন।

মানবাধিকার রক্ষার চারটি উপায় হলো-

১. সবাইকে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়া।

২. মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখলে প্রতিরোধ করা।

৩. মানবাধিকার রক্ষায় আন্দোলন করা।

৪. প্রয়োজনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো।

প্রশ্ন : আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।

উত্তর : আমাদের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-

১. মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

২. মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে।

৩. সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে।

৪. মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : অটিজম কী? অটিস্টিক শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে কেন? বিদ্যালয়ে অটিস্টিক বন্ধুদের সাহায্য করার চারটি উপায় লেখ।

উত্তর : অটিজম মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। অটিস্টিক শিশুর নিজের মতো ভালো থাকার অধিকার আছে। তাই অটিস্টিক শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যালয়ে অটিস্টিক বন্ধুদের সাহায্য করার চারটি উপায়-

১. তাকে উত্তেজিত না করা।

২. তাকে লেখাপড়ায় সাহায্য করা।

৩. সে জিনিসের প্রতি আগ্রহী সেটি তাকে দেওয়া।

৪. তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা।

প্রশ্ন : অটিস্টিক শিশুরা কী সমস্যায় আক্রান্ত? এ ধরনের শিশুর সঙ্গে তুমি কীরূপ ব্যবহার করবে? উক্ত শিশুদের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : অটিস্টিক শিশুরা অটিজম সমস্যায় আক্রান্ত। আমরা এ ধরনের শিশুকে কখনো বিরক্ত করব না। তারা উত্তেজিত হয়ে যায় কখনো এমন আচরণ করব না। অটিস্টিক শিশুদের চারটি বৈশিষ্ট্য হলো-

১. সব কাজ একই নিয়মে করতে হয়।

২. দৈনিক কাজের রুটিনের বদল হলে উত্তেজিত হয়।

৩. একাকি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে।

৪. কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সব সময় সঙ্গে রাখা।

প্রশ্ন : শিশুশ্রম কী? শিশুশ্রম রোধ করা প্রয়োজন কেন? শিশুশ্রমের চারটি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : শিশুকে দিয়ে শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করাকে শিশুশ্রম বলে। শিশুদের মানবাধিকার রক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শিশুশ্রম রোধ করা প্রয়োজন। শিশুশ্রমের চারটি ক্ষতিকর দিক হলো-

১. শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

২. শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. শিশু অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

৪. শিশুশ্রমের কারণে অনেক শিশু মারা যায়।

প্রশ্ন : শিশু পাচার কী? এটি কী ধরনের অপরাধ? শিশু অধিকার লঙ্ঘনের চারটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিশুদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দেওয়াকে শিশু পাচার বলে। শিশু পাচার মানবাধিকার ও আইন বিরোধী মারাত্মক অপরাধ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের চারটি উদাহরণ হলো-

১. পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২. অনেক শিশু গৃহহীন।

৩. সামান্য বা বিনা কারণে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

৪. অনেক শিশু ক্ষেত-খামার, ইটের ভাটায়, দোকানে বা কল-কারখানায় কাজ করে।

নারী-পুরুষ সমতা

প্রশ্ন : বেগম রোকেয়া কে ছিলেন? তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি কেন? নারী জাগরণের তার চারটি অবদান লেখ।

উত্তর : বেগম রোকেয়া উনবিংশ শতাব্দীর একজন মহীয়সী ও নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। তিনি নারীদের শিক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাই আমরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। নারী জাগরণে তার চারটি অবদান হলো-

১. ১৯০৯ সালে বেগম রোকেয়া তার স্বামীর নামানুসারে ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

২. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন।

৩. তিনি নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

৪. তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো দেখতে পায়।

প্রশ্ন : রোকেয়া দিবস কত তারিখ উদযাপিত হয়? বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয় কেন? নারী নির্যাতনের চারটি কুফল উলেস্নখ করো।

উত্তর : প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদযাপিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়। নারী নির্যাতনের চারটি কুফল হলো-

১. নারী নির্যাতনের কারণে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়।

২. নির্যাতনের কারণে মেয়েদের বাইরে কাজের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. অনেক নারী নির্যাতনের কারণে পরিবারের মধ্যে নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না।

৪. নির্যাতনের কারণে অনেক নারীর শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে